বিশেষ সংবাদদাতা ::
রোগির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের সাথে ইন্টার্নী চিকিৎসকদের হাতাহাতি, মারামারির ঘটনায় অচল থাকার প্রায় ৬ দিন পর কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় স্বাভাবিক গতি ফিরেছে। ৬ দিন আগের দৃশ্য আর নেই। সবকিছুই পরিপাটি। চিকিৎসক থেকে শুরু করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পর্যন্ত সবাই বেশ তৎপর। পুরো হাসপাতালের পরিবেশ পাল্টে গেছে। যেখানে রোগীদের ওয়ার্ডে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হয়েছিলো, রোগী ছিল মাত্র ৭০ থেকে ৮০ জন। সেখানে বর্তমানের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলো রোগিতে পরিপূর্ণ। ৫ শতাধিক রোগী ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পঞ্চম তলার সার্জারি ওয়ার্ডে রোগির জন্য শয্যা (বেড) না থাকায় বাইরে অতিরিক্ত বিছানা দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সরকারি চিকিৎসকরাও নিয়মিত ওয়ার্ডগুলোতে গিয়ে রোগীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এই তথ্য দিলেন হাসপাতালের এককজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। পাশাপাশি নার্সরা নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও হাসপাতালে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ফলে হাসপাতালে বিরাজ করে এক অন্যরকম পরিবেশ।
ইতোমধ্যে হাসপাতাল পরিচালনায় আনা হয়েছে পরিবর্তন। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত)’র স্থলে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ফৌজদার হাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রধান ডাঃ মহিউদ্দিন এবং সহকারি পরিচালক পদে ডাঃ রফিকুস সালেহীন ইমুকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী ডাঃ রফিকুস সালেহীন ইমু ইতোমধ্যে নতুন পদে যোগদান করেছেন।
উল্লেখ্য, পেটে ব্যথা নিয়ে ২ এপ্রিল কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন আনোয়ার নামে শহরের সমিতি পাড়ার এক বাসিন্দা। গত ৪ এপ্রিল কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। চিকিৎসকরা একটি ইনজেকশন দেয়ার পরই আনোয়ারের মুত্যু হয়।
এরপর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সহায়তায় ডাঃ ফাহিম ডেথ ফাইল প্রস্তুত করতে গেলে নিহত আনোয়ারের স্বজনদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। আনোয়ারের স্বজনরা ডাঃ ফাহিম ডেথ ফাইল পরিবর্তন করে ভুল চিকিৎসায় আনোয়ারের মৃত্যুকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এই সন্দেহে ডাঃ ফাহিমের উপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে হাসপাতালের কয়েকটি কাঁচের জানালাও ভাঙচুর করেন তারা। ওই ঘটনার পর থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। তাদের সঙ্গে নিয়মিত চিকিৎসকরাও সদর হাসপাতালে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। ৮ এপ্রিল কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান করেন নিয়মিত চিকিৎসকদের পাশাপাশি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। যদিও চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকালীন বিনা চিকিৎসায় মারা যান এক শিশু ও তিন নারীসহ অন্তত ৮জন।
প্রকাশ:
২০১৯-০৪-১৩ ১৪:১১:০৫
আপডেট:২০১৯-০৪-১৩ ১৪:১১:০৫
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: