ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁওতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ঘরে বসে মনগড়া বিল তৈরী:হাজারো গ্রাহক হয়রানির শিকার

এম শফিউল আলম আজাদ ::  কক্সবাজার সদরের বানিজ্যিক নগরী বৃহত্তর ঈদগাঁওতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ঈদগাঁও জোনাল অফিসের মিটার রিডাররা ঘরে/অফিসে বসে মন গড়া বিল তৈরী করায় সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও ততা ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, চৌফলদন্ডী, পোকখালী,ভারুয়া খালী ইসলামপুর ও রামুর ঈদগড় ইউনিয়নসহ হাজার হাজার গ্রাহক মাসের পর মাস আর্থিকসহ নানা প্রকার ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চৌফলদন্ডী মাঝের পাড়া গ্রামের এক বাসিন্দা ছৈয়দ নুর,ভারুয়া খালীর ছেনু আরাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতশত বিদ্যুৎ গ্রাহক কক্সবাজার মেইলকে জানান, ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জোনাল অফিসের মিটার রিডাররা ঘরে বসে মন গড়াভাবে বিল তৈরী করায় আমরা মাসের পর মাস আর্থিকসহ নানা প্রকার ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছি। যেমন কোন মাসে একই গ্রাহকের বিল আসে ৫০০ টাকা আবার কোন মাসে বিল আসে ৬ হাজার টাকা। তারা আরো জানান, সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে প্রায় ৫০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক থাকলেও মিটার রিডার আছে মাত্র ৪/৫ জন। এ কারণেও তারা ঘরে বসে বিল তৈরী করেন। সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের চাঁন্দের ঘোনা গ্রামের বিদ্যুৎ গ্রাহক নূর ইসলাম জানান, আমরা বিলের কাগজও সঠিক সময়ে পাই না। বিলের কাগজ বিতরণ করা হয় বহিরাগত লোক দিয়ে। এর সাথে জড়িত আছেন ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ কারণেই ঘটনা গুলো ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের জানালে তারা তেমন কোন গুরত্ব দেন না। এ ঘটনা গুলো নিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার হাজার হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে যেকোন সময় অঘটনও ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু এ গুলো দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কথা বলতে নারাজ।

পাঠকের মতামত: