ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে ১২ ইউনিয়নে অবৈধ ডিস ব্যবসা, ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে চিঠি

 বিশেষ প্রতিবেদক ::
সূ-দীর্ঘ এক যুগ ধরে অবৈধ ভাবে ডিস লাইনের ফিট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি অসাধু চক্র। চক্রটি চকরিয়ার ডুলাহাজারা, খুটাখালী ইউনিয়ন ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে হাজার হাজার গ্রাহকের মাঝে ডিস লাইনের ফিট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর কার্যক্রম বন্ধ করতে মালুমঘাট ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর মালিক মোহাম্মদ সেলিম বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তরের কন্ট্রোলার বরাবর ইতোপূর্বে একটি আবেদন করেন।

সেলিমের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের কন্ট্রোলার মোহাম্মদ জুলফিকার রহমান কোরাইশী বিগত ১৯ আগষ্ট অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ অনুসারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। কিন্তু অদ্যাবধি সরকারের রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা পরিচালনাকারী এসব ব্যক্তি , প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে কক্সবাজার সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে দিব্যি ট্যাক্র ফাঁকির অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শওকত আলম, চকরিয়ার খুটাখালীতে ঈসমাইল , হুমায়ুন, ডুলাহাজারায় জনৈক সিরাজ ও বদি আলম।

সূত্র আরও জানায়-প্ল্যানেট ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের স্বত্তাধিকারী নামধারী মৃত ছাবের আহমদের পুত্র শওকত আলমের কোন বৈধ লাইসেন্স নেই। কক্সবাজার পৌরসভার মধ্যে সীমাবদ্ধ তপন চৌধুরীর মালিকানাধীন ফ্রেন্ডস ইলেট্রনিক্স ও ক্যাবল নেটওয়ার্কের সাথে অবৈধ ভাবে চুক্তি করে দিব্যি ডিস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শওকত গং। অথচ ডুলাহাজারায় বৈধ ডিস ব্যবসার একমাত্র লাইসেন্স রয়েছে মালুমঘাট ক্যাবল নেটওয়ার্ক (লাইসেন্স নং-সি.ও.৪৬৩, রেজিঃ নং-১৩৯১) এর মোহাম্মদ সেলিমের। যা ইতোপূর্বে চকরিয়া ইউএনও’র তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

এদিকে বৈধ ডিস ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত সেলিম অভিযোগ করেন- কক্সবাজার জেলার ১২ টি ইউনিয়নে কক্সবাজার এপসিএন ক্যাবল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে শওকত গং দীর্ঘ এক যুগ ধরে লাখ লাখ টাকা সরকারী রাজস্ব ,ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ডিস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিকার চাওয়ায় চক্রটি আমার বৈধ ডিস লাইন রাতের আঁধারে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমার অফিস ভাংচুর করে । অথচ প্রতি বছর আমার বৈধ লাইসেন্সের বিপরীতে সরকারকে লাখ লাখ টাকা কর পরিশোধ করতে হয়। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জেলার বিশাল এলাকায় অবৈধ ডিস ব্যবসায়ী চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: