ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চবি ছাত্রলীগের আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক

চবি প্রতিনিধি ::

শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আজ রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। সাধারণ অবরোধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, ক্লাস-পরীক্ষা, দোকানপাটসহ সকল যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। অবরোধকারীরা হলো শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন চুজ ফ্রেন্ড উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়। তারা উভয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। তবে যৌক্তিক দাবিগুলোতে নৈতিক সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের অন্য পক্ষের।

অবরোধকারীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, গত ১ এপ্রিল আটক ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর আলী আজগর চৌধুরীর পদত্যাগ, হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরের প্রত্যাহার, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রশাসন কর্তৃক যেসব মিথ্যা মামলা করা হয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার।

জানা যায়, গত ৩১ মার্চ দফায় দফায় সংঘর্ষ ও দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেয় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়ে দুটি পাইপগান ও ১২৮ রাউন্ড গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ফের উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালে ঘটনাস্থল থেকে আটক হয় ছাত্রলীগকর্মী। পরে ৩ এপ্রিল আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় কোর্টে চালান দেয় হাটহাজারী থানা পুলিশ।

ধর্মঘটের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতা জাহাঙ্গীর জীবন ও সিএফসি গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেল চকরিয়া নিউজকে বলেন, মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। তাই ক্যাম্পাসে নওফেল ভাইয়ের দুই গ্রুপ প্রশাসনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবরোধের ডাক দিয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাব। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন, ক্লাস-পরীক্ষা, দোকানপাটসহ সকল যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এদিকে আন্দোলনে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ না থাকলেও নৈতিক সমর্থন থাকবে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছাত্রলীগের আরেক পক্ষের নেতা ইকবাল টিপু। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের একজন আদর্শিক কর্মী হিসেবে যৌক্তিক দাবির পক্ষে আমাদের নৈতিক সমর্থন থাকবে। তবে ঘোলা পানিতে কেউ মাছ শিকার করলে তার দায়ভার আমাদের নয়।

পাঠকের মতামত: