ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জড়িত থাকলে মেয়র মকছুদ মিয়াকে ছাড় দেয়া হবে না: ডিআইজি

ডেস্ক নিউজ:  চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিঅাইজি খন্দকার ফারুক বলেছেন, মহেশখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র  ছালামত উল্লাহর উপর হামলাকারীদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তদন্তে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে পৌর মেয়রকেও ছাড় দেয়া হবে না।

উল্লেখ্য, আহত ছালামত উল্লাহ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের সাত নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলায় হাত, পা ছাড়াও কিডনিতেও আঘাত লেগেছে।

বুধবার রাতে আহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মহেশখালী পৌর মেয়র মকসুদসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন।

আহত ছালামত উল্লাহ জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত মকছুদ মিয়ার পরিবার ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন চালাতো। তার তিন ভাই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। ক্ষমতার পালাবদল হলে মকছুদ মিয়া আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়। বর্তমান সাংসদের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত। পৌরসভার একজন কাউন্সিলর ও সাংবাদিক হিসেবে আমি তার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছি।

ফলে তিনি আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে হত্যার হুমকি দিতো। মঙ্গলবার আমি বাড়ি যাওয়া পথে তার নেতৃত্বে একদল যুবক আমার গতিরোধ করে আমার উপর হামলা চালায়। তাদের হাতুড়ি ও লোহার রড়ের আঘাতে আমার হাত ভেঙ্গে যায়। তাদের মারধরের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমি হাসপাতালে আছি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মকছুদ মিয়ার পিতা মো: হাশেম একজন চিহ্নিত তালিকাভূক্ত যুদ্ধাপরাধী। তার বড়ভাই আবু বক্কর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক, ছোটভাই কায়সার মহেশখালী পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরেকভাই আতা উল্লাহ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তার পরিবার যুদ্ধাপরাধের অপরাধ আড়াল করতে রাজনৈতিক ছাত্র ছায়ায় থেকে ক্ষমতার কাছাকাছি অবস্থান করেন বলে দাবি তাদের।

পাঠকের মতামত: