ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় পথসভাসহ ৪ স্পটে ৩০ রাউন্ড গুলি বর্ষন, জনমনে আতংক

পেকুয়া প্রতিনিধি:: পেকুয়ায় নির্বাচনী পথসভাসহ ৪ টি স্পটে গুলি করছে মগনামার সেই আলোচিত ওয়াসিম বাহিনী। বিএনপি থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের নেতৃত্বে তার অনুগত সন্ত্রাসী বাহিনী মগনামা ইউনিয়নের কাজীবাজারসহ ৪ টি স্পটে অন্তত ৩০ রাউন্ডের বেশী গুলি ছোড়ে। এ সময় একটি নির্বাচনী পথসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। গুলির বিকট আওয়াজে দক্ষিন মগনামা কাজী বাজার ও উত্তর মগনামা ফুলতলা ষ্টেশনে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের আশংকায় লোকজন বাজার ও ষ্টেশন থেকে নিরাপদ স্থানের দিকে সটকে যায়। ঘটনার জের ধরে মগনামা ইউনিয়েেনর কাজী বাজার, সাতঘরপাড়া ও ফুলতলা ষ্টেশনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উত্তেজনা প্রশমিত করতে পুলিশ ফুলতলা ষ্টেশন ও কাজী বাজারে অবস্থান নেয়। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশ টহল জোরদার করে। ২০ মার্চ (বুধবার) বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচনী সমাবেশে গুলি ছুড়ানোর ঘটনায় মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ওয়াসিম বাহিনী ও জনগনের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। তবে বড় ধরনের মারপিট ও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, ওই দিন মগনামা কাজী বাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পথসভার দিনক্ষন ছিল। বিকেলে ওই স্থানে পথসভা আহবান করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৫ টার দিকে পথসভার মঞ্চ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দক্ষিন মগনামা কালারপাড়ায়ও রাত ৮ টার দিকে গুলি ছোঁড়ে। এর জের ধরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন বন্দুকধারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় বন্দুকধারীরা পিছনের দিকে হটে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থান নেয়। বিক্ষুদ্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে রওয়ানা দেয়। এ সময় ওই স্থান থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ফুলতলা ষ্টেশনে ওয়াসিম বাহিনীর অনুগত লোকজন ভীতি ছড়াতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ওই স্থানটিতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুহুর্তের মধ্যে জনগন জড়ো হয়ে ফুলতলা ষ্টেশনে ওয়াসিমের অনুগত অস্ত্রধারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ওয়াসিম বাহিনীর এ সব ক্যাডাররা আফজলিয়া পাড়ার দিকে সটকে পড়ে। রাত ৯ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের পথসভা কাজী বাজারে হয়েছে। তবে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সেখানে উপস্থিত হননি। তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছেন। মগনামা ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ জানায়, নির্বাচনী স্বার্থকে ঘিরে মুলত এ বিরোধ সৃষ্টি নয়। মগনামার বিএনপি থেকে নির্বাচিত বিতর্কিত চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের মধ্যে দ্বন্ধের সুত্রপাত হয়েছে অনেকদিন আগে থেকে। এস, আলমের বিপুল সম্পত্তির নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টাকে কেন্দ্র করে এ বিরোধ। জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ইউনুছ ভোট করছেন। অপরদিকে ওয়াসিম আ’লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট করছেন। আ’লীগের কর্মী সমর্থকরা জানায়, ওয়াসিমের কৌশল হচ্ছে ভোটকে কেন্দ্র করে আ’লীগের একটি অংশকে আয়ত্তে এনে এস,আলমের জমিতে শক্তির জানান দেয়া। তারা দুইজনই বিএনপির ক্ষমতার সময় আ’লীগকে হামলা ও মামলা দেয়। ওয়াসিম বর্তমানেও আ’লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মগনামায় এক গৃহযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। এখন ওয়াসিম নিজকে স্বঘোষিত আ’লীগ দাবী করে মগনামার মাঠে সংঘাতের অগ্নিশিখার আগুন ছড়াচ্ছে। এ দিকে নির্বাচনী পথসভায় গুলি বর্ষনের ঘটনায় মগনামা বাজারপাড়ায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুস্টিত হয়। রাত ৯ টার দিকে এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ ওই স্থানে পৌছে। গুলি বর্ষন হয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: