ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

১৬৩টি পোশাক কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত

 পোশাক কারখানা। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

সরকারিভাবে চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ পোশাক কারখানার সংখ্যা ১৬৩টি। এর মধ্যে ৩৯টি কারখানা বন্ধ ও ৮৬টি কারখানা আংশিক বন্ধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট কারখানার সংস্কারকাজ চলছে।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ইউরোপীয় ক্রেতা সংগঠন একর্ড, উত্তর আমেরিকার ক্রেতা সংগঠন এলায়েন্স ও জাতীয় উদ্যোগের আওতায় ৩৭৮০টি কারখানার প্রিলিমিনারি এসেসমেন্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক, রাজউক/সিডিএ/কেডিএ এর সদস্য ও বুয়েট এর সদস্যদের সমন্বয়ে রিভিউ প্যানেল এসব কারখানা চিহ্নিত করে।

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে একর্ড এর সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির হার ৮৪ ভাগ এবং এলায়েন্সের হার ৯০ ভাগ।

সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে প্রধানত চাল, গম, ডাল, দুধ ও চিনিজাতীয় খাদ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুঁড়া মসলা, হিমায়িত ও জীবন্ত মাছ, চিংড়ি মাছ, ফলমূল, কৃষিপণ্য, শাকসবজি প্রভৃতি খাদ্যসামগ্রী রফতানি করে থাকে।

চিনির চাহিদা

আনোয়ারুল আজীমের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ব্রাজিল, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও মালয়েশিয়া থেকে চিনি আমদানি করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৬ লাখ টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও সরকারি চিনিকলে উৎপাদন ছিল ৬৮ হাজার ৫৬২ মেট্রিক টন। দেশের চাহিদা অনুযায়ী চিনির উৎপাদন কম থাকায় চিনি আমদানি বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। পনির উদ্দিন আহমেদ এর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ ও সিআইএসভুক্ত দেশে বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধির সমন্বয়ে বাণিজ্য মিশন পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও স্বাক্ষরের পরিকল্পনা রয়েছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার লক্ষ্যে পলিসি গাইডলাইন ফর ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই পলিসির আওতায় বিভিন্ন দেশ যেমন-শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, চীন, ভারত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মেসিডোনিয়া, মরিশাস এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: