ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাবা লাশকাটা ঘরে মেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে

লোহাগাড়া প্রতিনিধি ::  লোহাগাড়ার পদুয়া ধলিবিলার সিএনজি অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফের লাশের ময়নাতদন্ত যখন চলছিল তখন তার কন্যা শরমিন আক্তার পরীক্ষা কেন্দ্রে। শুক্রবার পদুয়া পদ্মবিলে মোনাফের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায় এবং পরদিন (গতকাল) ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে একইদিন বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত মোনাফের কন্যা শরমিন আক্তার (১৬) পদুয়া এসআই চৌধুরী বালিকা বিদ্যালয় হতে এসএসসি পরীক্ষার্থী।

সে যখন দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তখন লাশ কাটার ঘরে তার বাবা। লাশ দাফনের সময় কন্যা ও পরিবারের লোকজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে যায়।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বারবার বলছেন, আগামী দিনে কন্যার ভবিষ্যৎ কি হবে? নিতান্ত সহায়-সম্বলহীন সিএনজি চালক আবদুল মোনাফ অনেক কষ্টে বড় তুলছিলেন। নিয়তি তার স্বপ্ন চুরমার করে দিল।

লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাগর জানিয়েছেন, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে মোনাফের স্ত্রী খতিদা বেগম লোহাগাড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে তিনি জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী যথানিয়মে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে পদুয়া থেকে এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে লাশ উদ্ধার করা হয়।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, হত্যাকারী যেই হোক তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। কন্যার ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে তিনি দানশীল ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

পাঠকের মতামত: