ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

অবশেষে দোষ স্বীকার করে নিলেন সেই মিতু

অনলাইন ডেস্ক ::

পরকীয়ার দায়ে অভিযুক্ত ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর রিমান্ডের শেষদিন ছিলো শুক্রবার। তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

এদিকে বুধবার দুপুর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত মিতুকে তিন দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেন চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ আবদুল কাদের। তিনি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসআই আবদুল কাদের বলেন, দুদফা জিজ্ঞাসাবাদে মিতু ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার না করলেও শুক্রবার তৃতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এর আগে দুদফায় মিতু শুধুমাত্র বন্ধুত্ব থাকার কথা স্বীকার করেন।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন ধরে আকাশের আত্মহত্যার পেছনে কারণ কি জানতে চাইলে মিতু বলেন- আত্মহত্যার আগে ওই রাতে আকাশ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। এ কারণে মিতু তার সঙ্গে আর থাকবে না বলে বাবার সঙ্গে চলে যায়।

পরে নারী নির্যাতন মামলায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে আকাশ আত্মহত্যা করে বলে দাবি মিতুর।

মিতু জিজ্ঞাসাবাদে বলেন- ২০১৬ সালে ডা. আকাশের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে প্রতিটা মুহূর্তে তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখত আকাশ। যেখানে সন্দেহ বা বিশ্বাস থাকে না, সেখানে শান্তি থাকে না। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃতীয় দফা জিজ্ঞাসাবাদে মিতু জানান, আমেরিকায় অবস্থানকালে উত্তম প্যাটেল নামে এক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তিনি একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছেন। এর আগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিতু। তবে শোভন নামে চুয়েটের এক ছাত্রসহ একাধিক ছেলেবন্ধু থাকার কথা স্বীকার করলেও মিতু তাদের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হলেও এখন পর্যন্ত শুধু মিতুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন- মিতুর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী ও মিতুর বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলম। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে মিতুর মা শামীমা শেলী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং উত্তম প্যাটেল আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

৩১ জানুয়ারি ভোরে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে নিজ শরীরে ইনজেকশান পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুণ চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে প্যাটেল, মাহাবুবসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন এবং তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন। যা পুরো দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

পাঠকের মতামত: