ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইমামের পেটে ২হাজার ইয়াবা

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

কথায় আছে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। চোর তো চোরই। কিন্তু ধর্মের কাহিনী যদি মাওলানাই না শুনে তাহলে ধর্মের বাণী শুনবে কে? এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্যারটেক এলাকায়। গত শুক্রবার ৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ সাপুড়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের ঘটনার ১দিন পর আবারো গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাওলানা ও নারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এব্যাপারে কর্ণফুলী থানায় একটি মাদক আইনে মামলা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্ণফুলী থানার এসআই মনিরুল ইসলাম জানায় গত শুক্রবার সাপুড়ের কাছ থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দের পর আমাদের কাছে খবর আসে আরো একটি
মাদকের চালান নিয়ে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে পাচারের উদ্দ্যোশে আসছেন এক মাওলানা ও নারী। এই খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মইজ্যারটেকে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন যানবহনে তল্লাশি অভিযান চালায়। বিকেল ৪টায় পুলিশবঙের সামনে ২ যাত্রীকে সন্দেহ হলে তাদের দেহ তল্লাশির পর টেকনাফের বাসিন্দা মুহাম্মদ ইদ্রিসের পুত্র মাওলানা এনায়েত উল্লাহর (৫০) পায়ুপথ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবা ও একই এলাকার বাসিন্দা সুমনের স্ত্রী সোনিয়া আকতার (২৪) এর ব্যাগ থেকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোট ৪হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, দুই জনে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তারা একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনারও। একটি সংঘবদ্ধ মাদক সিন্ডিকেটের সহায়তায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে আরো কয়েক দফা মাদকের চালান পাচার করে।
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাওলানা এনায়েত ৬ মেয়ে ও দুই সন্তানের জনক, পেশায় মসজিদের ইমাম, খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেন। সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে এ পেশায় জড়ানো কথা পুলিশকে জানান। জব্দকৃত ইয়াবার মূল্য আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত: