ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নানান অনিয়মের অভিযোগে গ্রামীণ আদালতের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে জনগণ

indexএম. আবুল কালাম আজাদ, চকরিয়া থেকে ::

কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামীণ আদালতের বিচার কার্যক্রমের ধরন পাল্টে গেছে। জামানত হিসাবে নগদ টাকা ,স্বর্ণ অলঙ্কার ও স্ট্যাম জমা নেওয়া চিরাচরিত রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে বিচারক দালল কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে বিচারের রায় ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট বিচারক এমন অভিযোগ করলেন একাধিক ভোক্তভোগী জনসাধারণ। চিরাচরিত প্রথা অনুসারে গ্রামীণ জনপদের সহজ সরল নির্যাতিত মানুষ ন্যায় বিচারের আশা করে একদম অকপটে ছুটে আসে স্থানীয় এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দরবারে, তথা গ্রামীণ আদালতে।

স্থানীয় জন প্রতিনিধি বাদী ও বিবাদী পরিয়াদ অভিযোগ শ্রবণ করার পরে এক পর্যায়ে উভয় পক্ষে মোটা অংকের স্ট্যাম জমা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে থাকেন সংশ্লিষ্ট বিচারক বা জন প্রতিনিধি। যে সব বাদী বিবাদীর উক্ত হুকুমের অগ্রায্য করতে দেখা যায় তাদেরকে সরাসরি থানার আশ্রয় নিয়ে মামলা করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে টাকা, স্ট্যাম জমা নেওয়ার পরও নির্যাতিত পরিয়াদিরা সুস্থ বিচার হতে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক নির্যাতিত পরিয়াদি মাসের পর মাস জন প্রতিনিধিদের ধারে ধারে ধন্যা দেওয়ার পরও সুস্থ বা সন্তেুাসজনক সমাধান খোজে পাচ্ছে না। এ সব নির্যাতিত ভোক্তভোগীদের তাদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে তাদের সাথে প্রহসন করার প্রশ্ন কি ? এ সব প্রশ্নের আডালে রয়েছে কতিপয় প্রভাবশালী গ্রাম্য মাস্তান, তাওউট, বাটপার, দাদাল চক্রের কালো হাত, সময় সময় এ সমস্ত কালা হাত প্রকাশ্যভাবে মাতাওয়ারা হয়ে ওঠে বলে ভোক্তভোগীরা জানায়। কতিপয় জন প্রতিনিধিদের নিজস্ব গুটি কয়েক চামচা বা দালাল যারা নিয়মিত এদের পিছনে ঘোর ঘোর করে থাকে মূলত এরাই বিচারককে প্রভাবিত করে সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্যা বানিয়ে একজন নিরপরাধী ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্থ করে বসে। এখানে বাদী আর বিবাদী অপরাধী হউক আর নিরাপরাধী হউক তাদের দেওয়া জামানত টাকা ও স্বর্ণ অলাঙ্কার মূল্যাবান স্ট্যাপ ফেরত পায় না। আর তা পাওয়ার জন্যে কেউ চাপ প্রয়োগ করতে পারে না ভয়ে। এ সমস্ত কারণে স্থানীয় গ্রামীণ আদালতের প্রতি সাধারন জনগণের আস্থা প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তাউট বাটপার কথিত দানন্দা বাজদের কূপরোচনায় ঠোটেমুখে কথা কাটাকাটি হলেও এমনকি পানের চুন কষার মত সামান্য ব্যাপারে বিরোধের কারণেও থানায় মামলা হচ্ছে আর পুলিশের হাতে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ। পরিত্রান পেতে এলাকার সাধরণ জনগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এইদিকে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানাযায়, কক্সবাজার জেলায় চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ এই ০৮টি উপজেলায় ৭১টি ইউনিয়ন রয়েছে জনসংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ। অপরদিকে বান্দরবান জেলায় লামা, আলীকদম, থানচি, রুমা, নাক্ষ্যাংছড়ি, বান্দরবন সদর, রোয়াংছড়িসহ ০৭ টি উপজেলায় ৩৩টি ইউনিয়ন নিয়ে জেলা গঠিত হয়। এই ০২ জেলায় মোট ১০৪ টি ইউনিয়ন রয়েছে।

পাঠকের মতামত: