ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

মিষ্টি পান চাষের সুফল পাচ্ছেন কক্সবাজারের ২০ হাজার পরিবার

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী  মিষ্টি পানের উপর নির্ভর করে কক্সবাজারে ৭টি উপজেলার অন্তত ২০ হাজার পরিবার। চলতি মৌসুমে পানের রেকর্ড পরিমান মূল্য হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষীদের পরিবারে। তাদের দাবি পান রপ্তানী বৃদ্ধি করা হলে পান উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।
মিষ্ঠি পানের চড়া মুল্যে অন্তত চাষীদের ২০ হাজার পরিবারে খুশির আমেজ। বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মুল্যে বিক্রি হচ্ছে মিস্টি পান। বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি বিরা পান সর্বোচ্চ সাড়ে ৭শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতেই সন্তোষ্ট চাষীরা।
কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে জেলায় অন্তত সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তবে পাহাড়েও সমপরিমান পান চাষ হচ্ছে যা কৃষি বিভাগের হিসাবে নেই। সর্বোচ্চ পান চাষ হচ্ছে মহেশখালীতে ১৪শ হেক্টর জমিতে।
মহেশখালীর হোয়ানকের পানচাষী নুর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে যেমন ফলন তেমন দর হওয়ায় মিস্টি পানের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পানের বর্তমান মুল্য অব্যাহত থাকলে চাষীরা লাভবান হবে। গত মৌসুমের চেয়ে পান চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় পানের উৎপাদন বেড়েছে।
চকরিয়া ডুলাহাজারার পান চাষী ফজল করিম জানিয়েছেন, কয়েক বছরের মধ্যে চলতি মৌসুমেই চাষীরা সর্বোচ্চ মুল্যে পান বিক্রি করছেন। আশাকরি আগামিতেও অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই মিস্টি পান বিদেশে রপ্তানী বৃদ্ধি করলে পানের মুল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়াও পান পরিবহনে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সম্প্রতি মধ্যপ্রচ্যে মিস্টি পানের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানীও বেড়েছে। যার ফলে দেশের অভ্যন্তরে মিস্টি পানের যে চাহিদা ছিল তাও বেড়েছে। এ ছাড়াও মিষ্টি পান বিদেশে রপ্তানী বৃদ্ধি করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় পানের মূল্য সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারি কর্মকর্তা কাইছার উদ্দিন জানিয়েছেন, পানের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি সার ও কীটনাশক সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকরা নির্বিঘেœ চাষে কাজ করতে পেরেছে। পুরো মৌসুমেই তাদের সার ও কীটনাশকের ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে না। কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের নানা ভাবে সহযোগীতা করা হয়। কোন রোগ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক পরার্শ দেওয়া হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আ.ক.ম শাহরিয়ার জানিয়েছেন, কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হয়। কোন সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা দেয় কর্মকর্তারা।

পাঠকের মতামত: