ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

জেএসসিতে সেরা খাস্তগীর-বাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্রগ্রাম ::

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১.৫২ শতাংশ। ২০১৭ সালে পাসের হার ছিল ৮১.১৭ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হার ০.৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এবার চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ২৩১ জন। গত বছর পেয়েছিল ১০ হাজার ৩১৫ জন।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এক হাজার ২৪০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ২ হাজার ৪৫৫ পরীক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮ জন।

জেএসসিতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান : এ বছর জেএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে সর্বোচ্চসংখ্যক জিপিএ-৫ পেয়েছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। নগরের ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩২১ শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩৬ জন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩০৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯৮ জন।

আর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার শতভাগ পাস করা স্কুলের সংখ্যা ৮৯টি। এর মধ্যে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ায় পাসের হারের ভিত্তিতে প্রথমে রয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৮৩ জন।

পিইসিতে পাসের হার ৯৭.৯৮ শতাংশ

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রামে পাসের হার ৯৭.৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.৮৭ শতাংশ। পিইসিতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী। ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৯৯ জন।

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিইসি ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলার ফল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিরুল কায়ছার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানা।

এ বছর পিইসিতে নগরসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার এক লাখ ৪১ হাজার ২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ৩৮ হাজার ১৭৪ জন।

অন্যদিকে, ইবতেদায়ি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৩ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২২ হাজার ৮৩০ জন।

পাঠকের মতামত: