ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে এমপির নেতৃত্বে বিএনপি অফিসে হামলার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট ::
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করেছেন, কক্সবাজার ৩ আসনের মহাজোট মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল, ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট না চেয়ে ভোটারদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। নানাভাবে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। কক্সবাজার শহরের বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ভোট করতে মাঠে যাচ্ছেন না। ভোট ছাড়া এমপি হতে চাচ্ছেন। চেয়ারম্যান ইউনুস ভুট্টো, আবদুল মাবুদসহ চিহ্নিত কিছু লোক প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে হুমকি দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। মাঠেই থাকব। কোন ধরনের ভয়ভীতি পরোয়া করিনা। জনগণ আমাদের সাথে আছে।

পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল।
তিনি বলেন: গত ১০ ডিসেম্বর ধানের শীষের প্রচারণাকালে উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনসারুল হককে মারধর করে উল্টো ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ধারাবাহিক হামলা মামলা শুরু করেছে। আমাদের জানামতে এ পর্যন্ত রামুতে তিনটি মামলা হয়েছে। আরো মামলা করার পরিকল্পনা করার কথা শোনা যাচ্ছে। বুধবার রাতে রামুতে বিএনপি অফিস ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পিটিয়ে অন্তত ৩০ জনকে আহত করেছে।

রামু উপজেলার ফতেখারকুল ও খুনিয়াপালং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরীসহ অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ১১ টার দিকে রামু ফতেখারকুলে বিএনপি অফিসে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনাটি ঘটে।হামলায় আহত ধানের শীষের সমর্থকদের দেখতে বুধবার গভীর রাতে জেলা সদর হাসপাতালে ছুটে যান কক্সবাজার-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল। তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে আহত সমর্থকদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভীড় জমায়। তারা ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ফতেখারকুল ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে শতাধিক নৌকা মার্কার সমর্থক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র বিএনপির কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

বিএনপির মনোনীত ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শেষে নেতাকর্মীরা অফিসে বসলে অতর্কিত সশস্ত্র হামলা করে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। হামলার সময় খোদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল উপস্থিত ছিলেন। তার নিদের্শেই হামলার ঘটনাটি ঘটে। মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়েছে দলের অনেক সিনিয়র পর্যায়ের নেতাকে। এ সময় অফিসের সামনের থাকা ৭টির মতো মোটর সাইকেল হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির গণজোয়ার দেখে সরকারি দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা জন রায়ে ভীত হয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি সমর্থকদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালানো শুরু করেছে। ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা না চালাতে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল।

রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমেদ মাহিন চৌধুরী জানান,এমপি কমলের উপস্থিতিতেই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়। হামলার জন্য তিনি নিজেই উস্কে দেন নেতাকর্মীদের। তারা ধানের শীষের প্রচারণা গাড়ি ভাংচুর ও প্রচার সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জানতে রামু থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল মনসুরকে ফোন করে পাওয়া যায়নি। সুত্র: চ্যানেল আই

পাঠকের মতামত: