ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ লুটপাটের দৃশ্য দেখলেন এসিএফ: সরকার হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব

মনির আহমদ, কক্সবাজার ::

চকরিয়ায় মহাসড়ক সংলগ্ন বরইতলী পাহাড়ের সামাজিক বনায়নের কয়েক হাজার গাছ লুট হয়েছে। সপ্তাহ ধরে দিনে দুপুরে গাছ কেটে ট্রাক ভরে নিয়ে যাচ্ছে। সরকার কোটি টাকা খরচ করে যে গাছ লাগিয়েছেন তা বিক্রী হচ্ছে অবৈধ ভাবে। অথচ সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে বিক্রী হলে যমেনটি দ্বীগুন দাম পেত অংশিদার তেমনি সরকার ও পেত লাখ টাকার রাজস্ব। মহাসড়ক হয়ে গেলে ও সড়কের অপর প্রান্তের নিকটস্থ বনবিট অফিসের কর্মকর্তা পালন করেছেন নিরব দর্শকের ভুমিকা। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে এসিএফ -ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কর্তন করা শতাধিক টুকরো বনজ গাছ তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন। তবে কাটা গাছগুলো জব্দ করেননি। তাঁর মতে কাগজে পত্রে জায়গাটি বেত বাগান এলাকা হয়। বেতবাগান এলাকায় বেলজিয়াম আকাশমনি জন্মালো কিভাবে? গাছগুলো সামাজিক বনায়নের কিনা জেনে নিয়ে জব্দ করা হবে।

জানাযায়, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী বানিয়ার ছড়ায় মহাসড়ক সংলগ্ন বন বিট টি চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের অধিনস্থ একটি বন বিট অফিস। মহাসড়কের দুই পার্শ্বে রয়েছে এ বনবিটের অধিনে দৃশ্যমান সামাজিক বনায়ান। ৫/৬ বছরে গাছগুলো দৃশ্যমান হওয়ায় গাছ চোরের নজর পড়ে।গাছ চোর সিন্ডিকেট স্থানীয় বানিয়ার ছড়া বনবিটের দুর্নীতিবাজ বনমালী কাম এফজি নয়নের মাধ্যমে ম্যানেজ করে ফরেষ্টার প্রদীপ সহ উপরস্থদের। সামাজিক বনায়নের অংশিদারকে ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাছ সমেত ৫ একর বাগান সহ বনভুমির দখল বিক্রী কেরে দেয় বনদস্যু সিন্ডিকেটের কাছে। এর পর থেকে গত ৪ দিন ধরে গাছগুলো দিনে দূপুরে কেটে লাকড়ী তৈয়ার করে ট্রাক মারফত পাচার করছিল কাটচোরের দল। আলাপকালে এক কাটচোরের ভাষ্য, “বনকর্তারা টাকা নিয়ে ম্যানেজ আছে দিনে দুপুরে কাট নিতে অসুবিধা কোথায়? এসিএফ আসছে আমরা আগে থেকে জানি। বিট কর্মচারীরা আমাদেরকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই আগে থেকে গাড়ী গুলো সরিয়ে রেখেছি”।

খবর পেয়ে শনিবার চট্টগ্রাম বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে পাঠান উপ-সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) ফাহিম মাসুদকে। উর্ধ্বতন বন কর্মকর্তা আসার খবর পেয়ে এ প্রতিবেদক সহ ৫ জন সাংবাদিক মিলিত হই পরিদর্শকদের সাথে। এসিএফ ফাহিম মাসুদ শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে বনে কর্তনকৃত আকাশ মনি গাছের শতাধিক টুকরো বনজ গাছ এবং ওই নতুন তৈরী ৩/৪ টি ঘর স্বচক্ষে দেখেছেন। তবে তিনি আশ্চর্য হননি। এমন কি পরিত্যক্ত কাটা গাছগুলো জব্দ ও করেননি। তাঁর মতে কাগজে পত্রে জায়গাটি বেত বাগান এলাকা হওয়ার কথা। বেত-বাগান এলাকায় বেলজিয়াম আকাশমনি গাছগুলো গজাল কিভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। তা ছাড়া গাছগুলো সামাজিক বনায়নের কিনা তা জেনে নিয়ে জব্দ করা হবে বলে তিনি বনমালী নয়ন ও ফরেষ্টার প্রদীপকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এলাকাবাসীর মতে,

সরকার কোটি টাকা খরচ করে যে গাছ লাগিয়েছেন তা বিক্রী হচ্ছে অবৈধ ভাবে। অথচ সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে বিক্রী হলে যেমনটি দ্বীগুন দাম পেত অংশিদার তেমনি সরকার ও পেত লাখ টাকার রাজস্ব। তারা এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারী বাড়ানো দরকার মনে করেছেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: