ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত তাবলিগের বিভক্তি

অনলাইন ডেস্ক ::   তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ পৃথক তারিখ নির্ধারণ করায় জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব স্থগিত করা হয়েছে। তাবলীগের উভয় পক্ষের মধ্যে সমাঝোতার মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমার একটি তারিখ নির্ধারণে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের দেওবন্দে যাবে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকারের সঙ্গে এক বৈঠকে।
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন নিয়ে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে তাবলীগ জামাতের বিবাদমান দুটি পক্ষের প্রতিনিধিরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ রাতে বলেন, সভায় তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষকে এক জায়গায় আনার চেষ্টা করা হয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতে কিছু সিদ্ধান্তও
সেখানে হয়। জাতীয় নির্বাচনের সময় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকতে হয় উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, দুই পক্ষ আলাদা আলাদা হয়ে দুই দফায় চারবার ইজতেমা করলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও বিঘ্নিত হতে পারে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই পক্ষই জানুয়ারিতে ইজতেমা না করাতে সম্মত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উভয় পক্ষই একমত হয়েছে যে এটি পরে হবে। তাবলীগ জামাতের এক পক্ষ আগামী ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি এবং অন্যপক্ষ ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের তারিখ নির্ধারণ করেছিল। আবদুল্লাহ জানান, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে কাজ করবে। কারণ সেখান থেকে যে বক্তব্য এসেছে তা নিয়েই বিভ্রান্তি। সেখান গিয়ে যদি আলোচনা করা যায় তাহলে ঝামেলাটা মিটে যাবে। তাবলীগের বিবাদমান দুই পক্ষকে এক করে একই তারিখে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ।
সভায় উপস্থিত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বলেন, তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য দিল্লির মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভি বিভিন্ন সময়ে তার দেওয়া বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বলে সভায় জানান তার অনুসারীরা। তবে অন্যপক্ষের দাবি, সাদ ক্ষমাতো চানইনি, ভুলও স্বীকার করেননি।
পরে উভয়পক্ষের সম্মতিতে ধর্মসচিব আনিছুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, তাবলিগের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ যোবায়ের এবং আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহকে নিয়ে একটি কমিটি করা হয় সভায়। এই কমিটি দুই পক্ষের বিরোধ মেটাতে ভারতে গিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

পাঠকের মতামত: