ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি মামলা

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ::

সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হত্যচেষ্টা মামলা দায়ের করেছে। গতকাল শনিবার রাতে হাটহাজারী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই মামলায় উভয় গ্রুপের মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতভর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ১০ জন কর্মী আহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উভয় পক্ষ এ মামলা দায়ের করেন। বিবাদমান গ্রুপের এক দিকে আছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী সিএফসি গ্রুপ ও অন্যদিকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী সিক্সটি নাইন, ভিএক্স ও বাংলার মুখসহ আরো কয়েকটি গ্রুপ।

জানা যায়, সিএফসি গ্রুপের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. আল আমিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয়-মার্কেটিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শ্রাবণ মিজান, চারুকলা বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আনোয়ার হোসেন শুভ ও একই শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের মিজান শাইখ, বন ও পরিবেশ বিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাঈদ করিম মুগ্ধ, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শাহিব তানিম ও একই শিক্ষাবর্ষের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের আল আমিন শান্ত, আইন বিভাগের ফোরকানুল আলম ও পদার্থবিদ্যা শফিকুল ইসলাম শাওন। তারা সবাই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

অন্যদিকে, এই মামলা দায়েরের পর পাল্টা আরেকটি ‘হত্যা চেষ্টা’ মামলা দায়ের করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারীরা। অজ্ঞাত ৩ জনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আবু হেনা রনি।

এই মামলার আসামি করা হয়েছে- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মো. আল আমিন ভূঁইয়া, একই শিক্ষাবর্ষের লোক প্রশাসন বিভাগের ইমরান হোসেন, প্রান্ত মল্লিক, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মোহন খান, আরবি বিভাগের অলি উল্লাহ,  সমাজতত্ত্ব বিভাগের আরিফুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের কনক সরকার, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের পিয়াস সরকার। এ ছাড়া আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা খবির সাদাফ ও সংস্কৃত বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সন্দ্বীপ বিশ্বাস । তারা সবাই নওফেলের অনুসারী ও সিএফসি গ্রুপের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

মামলার বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি ও সিএফসি গ্রুপের নেতা জামান নূর বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

সিক্সিটি নাইন গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহসভাপতি মনসুর আলম বলেন, সংঘর্ষে আমাদের কর্মী আহত হয়েছে। তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, দুই পক্ষের মামলা নেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: