ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় রাজস্ব ফাঁকিতে চলছে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা জমে উঠেছে। প্রশাসনের অগোচরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত চক্র সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে বেসুমার টাকা। এতে চক্রটি অবৈধ পন্থায় ব্যবসা করার ফলে সরকার হারাচ্ছে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে গ্রাহকদের জিন্মি করে বিলের পাশাপাশি বিভিন্ন খরচের নামে প্রতিমাসে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থার কারনে আর্থিকভাবে ফতুর হচ্ছে গ্রাহকরা।

অভিযোগ উঠেছে, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ও ডুলাহাজারা এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের বৈধতা না নিয়ে চক্রটি দীর্ঘধরে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ ডিস ব্যবসা। এ ঘটনায় চক্রটির বিরুদ্ধে ওই এলাকার লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম বাদী হয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন মহা-পরিচালকের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে আসামী করা হয ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড চা-বাগান এলাকার বদিউল আলম, একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড রংমহল এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০) ও খুটাখালী ইউনিয়নের মোঃ ইসমাইল ও হুমায়নকে।

বাদীর অভিযোগে জানা যায়, অভিযুক্তরা দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে খুটাখালী ও ডুলাহাজারা এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসার বিভিন্ন প্রতিষ্টানের নাম ব্যবহার করে কোন ধরনের বৈধতা না নিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় এসব ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী (বাদি) মো. সেলিম) অভিযুক্ত চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বাদীর দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগটি বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক আমলে নিয়ে গত ১৯ আগষ্ট তারিখে স্মারক নং ১৫.৫৪০০০০.০৩০.৩৮.০৩৬.১৮-২৯৬৪ মুলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত ২৫ অক্টোবর চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের বাদী ও বিবাদী পক্ষকে ডিস ব্যবসার কাগজপত্র নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ দেন। ওই দিন উপস্থিত হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বাদী ক্যবল নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলেও অভিযুক্তরা কোন ধরনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

পরবর্তীতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্তকে আগামী ২০দিনের মধ্যে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় তাঁর দপ্তরে হাজির হতে নির্দেশ দেন। একই সাথে তাদের ব্যবসার কার্যক্রম বন্ধ রাখতেও নির্দেশ দেন ইউএনও।

কিন্তু অভিযুক্তরা চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ অমান্য করে এখনো অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছেন। এ ঘটনায় অভিযোগের বাদি লাইন্সেসধারী ডিস ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, অভিযুক্ত পক্ষকে সময় নির্ধারণ করে দিয়ে ব্যবসার বিপরীতে বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আপাদত তাদেরকে ব্যবসা বন্ধ রাখতেও বলা হয়। তিনি বলেন, নির্দেশনা লঙ্ঘনে তাঁরা ফের ব্যবসা চালু রেখে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: