ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা কারবারী নিহত : অস্ত্র-ইয়াবা ও গুলি উদ্ধার

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার, ২৬ অক্টোবর ॥

কক্সবাজারের টেকনাফে শুক্রবার ভোররাতে নাফনদীর কিনারায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দু’গ্রপে চালান খালাস নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক ইয়াবা কারবারী নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র-ইয়াবা ও গুলি। ২৬ অক্টোবর শুক্রবার ভোরে এঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান শেষে হ্নীলা হতে থানায় ফেরার পথে দমদমিয়া এলাকায় পৌঁছলে নাফনদীর কিনারায় গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ইয়াবা কারবারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এসময় উভয়পক্ষের প্রায় ৩৫/৪০ রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে একটি গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ, ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ১০ রাউন্ড গুলি ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসা হলে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উলুচামরী এলাকার কালা মিয়া প্রকাশ কালুর ছেলে মোঃ হাসান প্রকাশ হামিদুল ইসলাম ওরফে লালাইয়া (৩৫) বলে সনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নিহত ইয়াবা কারবারী লালাইয়া উক্ত এলাকার ইয়াবা ডন মৃত সিকদার আলীর ছেলে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ডন হামিদ হোছনের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সে বিভিন্ন সংস্থার সোর্স পরিচয়ে এবং জনৈক প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় নানা অপতৎপরতা চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে বিষাক্ত করে তুলেছিল।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত ইয়াবা কারবারীর লালাইয়ার বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় ৩টি মাদক, ৪টি মারামারি ও ১টি মানবপাচারসহ বেশ কয়েকটি বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে।

লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়েরের করেছে।

পাঠকের মতামত: