ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ফানুসের আলোয় আলোকিত নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ী পল্লী

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি :

ফানুসের আলোয় আলোকিত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ী পল্লী গুলো। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ও আকষর্ণীয় ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমার উপলক্ষে উপজেলার ৩৭টি পাহাড়ী পল্লীগুলোতে সন্ধ্যার পরপরই চলে ফানুস উড়ানোর মহোৎসব।

সরজমিনে দেখা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ধাবনখালী মার্মা পাড়ার বৌদ্ধ বিহারে বুধবার সন্ধ্যার পরপরই লোকে লোকারণ্য। বাঁশ, কাঠ, বেত ও রঙ্গিন কাগজ দিয়ে তৈরী করা ফানুস উড়ানোর দৃশ্য দেখছে। নেচে গেয়ে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীয় লোকজন ফানুস উড়াচ্ছেন।

অরফানেন্স গার্লস হোম স্কুলের পরিচালক মংলা মার্মা বলেন, প্রতি বৎসরের ন্যায় এ বছরও তার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফানুস উড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নেচেগেয়ে মনের আনন্দে এসব ফানুস উড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের ভেতরের অপবিত্রতা ও কলুষতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য তিন মাসব্যাপী নির্জন আশ্রমে বাস করেন। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে আকাশকে আলোকিত করতে রঙ্গিন আলোর ফানুস উড়ানো। উৎসবকে ঘিরে তৈরী করা হয়েছে অতিথিদের জন্য পিঠা উৎসবেরও।

বৌদ্ধ যুবকরা জানান, উৎসবের শেষ দিনে নর-নারীরা দানীয় ও পূজার সামগ্রী নিয়ে বৌদ্ধ বিহারে সমবেত হন। ভিক্ষুদের কাছ থেকে শীল গ্রহন করে, ভিক্ষুদের খাদ্যভোজ্য প্রদান করে এবং দান-দক্ষিনা দিয়েছেন। অনেকেই অষ্টশীল নিয়ে স্ব-স্ব বিহারে অবস্থান করেছেন। দুপুরে ধ্যান সমাধি এবং বিকেলে আয়োজিত হয়েছে ধর্মসভা। বড়রা ছোটদের আশীর্বাদ করেছেন এবং ছোটরা বড়দের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এই মিলন পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সামাজিক ঐক্য ও সংহতিকে জোরদার করে।

বাইশারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর জানান, প্রবারনা পূর্ণিমায় পুরো উপজেলায় বৌদ্ধ ধর্মালম্বীয় লোকজন তাদের বৌদ্ধ বিহার গুলোতে নেচে গেয়ে ফানুস উড়িয়েছেন। এসব দেখতে অনেক বাঙ্গালীরাও অংশ নেয়। এতেই প্রমানিত হয় পুরো পার্বত্য বান্দরবান সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে আবদ্ধ রয়েছে।

পাঠকের মতামত: