ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

লামায় সংঘর্ষে দু’পক্ষের ২জন আহত

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

বান্দরবানের লামায় নিজের ক্রয়কৃত বাঁশ নিতে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষে দু’পক্ষের ২জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফুইট্টাঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সরই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইছাক মেম্বার পাড়ার মৃত কাশেম আলীর ছেলে নুরুল কবিরের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৬) ও আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাম্বী আমতলী মুসলিম পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন (২৫)। আহত দুইজন বর্তমানে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মৃত কাশেম আলীর ছেলে মনসুর মিয়ার কাছ থেকে ১ বছরের জন্য ১ হাজার ৬শত টাকার বিনিময়ে বাঁশখোলা ক্রয় করে নুরুল কবির। বৃহস্পতিবার বিকালে নুরুল কবিরের ক্রয়কৃত বাঁশখোলা হতে বাঁশ বাগানের মালিক মৃত কাশেম আলীর ছোট ছেলে আমজাদ হোসেন কিছু বাঁশ কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ক্রয়সূত্রে বাঁশের মালিক নুরুল কবির বাঁশ নিতে বাঁধা দিলে দুই জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমজান হোসেন ও তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে নুরুল কবির সহ তার স্ত্রী রাশেদা বেগমের উপর হামলা করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। বাঁশ নিয়ে কাড়াকাড়ির এক পর্যায়ে বাঁশের খোঁচা লেগে আমজাদ হোসেনও আহত হয়।

নুরুল কবির বলেন, মনসুর মিয়া হতে প্রথমে ১ হাজার ৬শত টাকা দিয়ে বাঁশখোলা ক্রয় করি। তারপরে তার ছোট ভাই আমজাদ হোসেন বাঁশ কাটতে বাধা দিলে তাকেও ৫৫০ টাকা প্রদান করি। তারপর মনসুরকে আবারও ৩শত টাকা দেই। আমার ক্রয়কৃত বাঁশ নিতে বাধা দেয়ায় আমাকে মারধর করে এবং আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকে শ্লীলতাহানী সহ কুপিয়ে আহত করে।

লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমজাদ হোসেন বলেন, নিজের বাঁশ বাগান হতে বাঁশ আনতে গেলে তারা বাধা দেয় এবং আমাকে মারধর করে।

লামা হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক রায়হান জান্নাত বিলকিছ সুলতানা জানান, রাশেদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মাথায় দায়ের কোপ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে।

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. লিয়াকত আলী সাংবাদিককে বলেন, মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষ অভিযোগ করেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: