ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রামুর বাঁকখালী নদীতে জাহাজ ভাসানো উৎসব ২৫ অক্টোবর

খালেদ হোসেন টাপু, রামু ::  বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে এবারও কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীতে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসব। আগামী ২৫ অক্টোবর দুপুরে চেরাংঘাটাস্থ বাঁকখালী নদীতে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এবার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাতটি কল্প জাহাজ নদীতে ভাসানো হবে।

রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদ ফানুস উত্তোলন ও জাহাজ ভাসানো উৎসবের আয়োজন করছে।

এদিকে এ উৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে গতকাল শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও সীমা বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেতন বড়–য়া, তাপস বড়–য়া,বিপুল বড়–য়া আব্বু,পূর্ণধন বড়–ুয়াসহ বিভিণœ গ্রামের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদ এর সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু জানান, সভায় ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে প্রতি বছরের মতো জাঁকজমক এবং উৎসব মুখর পরিবেশে সফলভাবে সম্পন্ন করতে নানা বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহন করা হয়।

তিনি বলেন, এ বছর উৎসবে পূর্ব রাজারকুল, হাজারীকুল, পূর্ব মেরংলোয়া, হাইটুপী রাখাইন পাড়া, শ্রীকুল-হাইটুপী বড়–য়া পাড়া, দ্বীপ-শ্রীকুল এবং মেরংলোয়া গ্রামসহ মোট সাত গ্রাম থেকে সাতটি কল্পজাহাজ নদীতে ভাসানো হবে।

ইতোমধ্যে গ্রামগুলোতে জাহাজ নির্মাণের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। আমরা আশা করছি, নিরাপদ,সৌহাদ্যপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলে এবারে উৎসবে অংশ নেবে।

রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের বলেন,প্রায় ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী জাহাজ ভাসানো উৎসব শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, যুগ যুগ ধরে হাজার হাজার শিশু-কিশোর ও আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার মাঝে নির্মল আনন্দ ও সৌহার্দ্য সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করে আসছে এ উৎসব। আমরা চাই এ ঐতিহ্য হাজার হাজার বছর টিকে থাকুক।

উল্লেখ্য প্রায় দুইশো বছর ধরে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ উৎসব উদযাপন থেকে বিরত থাকেন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়। এবং উৎসবের ওই অর্থ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত: