ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রামুর কচ্ছপিয়ায় সামাজিক বনায়ন উজাড় করে জমি দখলের অভিযোগ

সোয়েব সাঈদ, রামু ::

রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ উজাড় ও পাহাড় কেটে বন বিভাগের জমি জবর-দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জবর-দখলকৃত জমিতে বসত ঘর, টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্দ সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা গত ৩ অক্টোবর কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (উত্তর) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের মুরাপাড়া ও পাশর্^বর্তী এলাকায় বাঘখালী রেঞ্জের গিলাতলী বন বিটে ২০১৩-১৪ সনে বাফারজোনে ২৫ হেক্টর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়।

বাগান সৃজনের পর থেকে কতিপয় প্রভাবশালী ও ভূমিগ্রাসি ব্যক্তি এ বাগানের গাছ উজাড় এবং পাহাড় কেটে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে। জবর-দখলকারিরা বাগানের গভীরে নলকূপ ও বসতি স্থাপন এবং ফলজ গাছ রোপন করে বিপুল বনভূমি দখল করে নেয়।

কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (উত্তর) কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে নুরুল আলম, মৃত আবু তাহের এর ছেলে মিজানুর রহমান ও মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. রাশেল।

অভিযোগকারী সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী নুর আহমদ, মৌলানা নজরুল ইসলাম, সরওয়ার, বদি আলম জানান, জবর-দখলকারি চক্র ইতিপূর্বে পাহাড় কাটার সময় বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে মাটি পাচারে ব্যবহৃত ডাম্পার জব্দ করে। এছাড়াও বনায়নের গাছ কাটার সময় আটককৃত ব্যক্তিকে বিট কর্মকর্তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

সম্প্রতি অভিযুক্তদের গাছ উজাড় ও সামাজিক বনায়নের জমি জবরদখলে বাধা দিলে উল্টো তারা সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মারধর, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকী দেয়। এনিয়ে উপকারভোগীরা আতংকে ভোগছে। আতংকিত উপকারভোগীরা এ ব্যাপারে বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে বন বিভাগের গিলাতলী বিট কর্মকর্তা সেলিম খান জানান, সামাজিক বনায়নের গাছ উজাড় ও পাহাড় কেটে বন বিভাগের জমি জবর-দখলের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। এখানে যোগদানের পর থেকে সামাজিক বনায়ন রক্ষায় তিনি উপকারভোগীদের সাথে নিয়মিত মিটিং করে যাচ্ছেন। গাছ কাটা বা জমি দখলের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: