ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে ইয়াবা কারবারীরা বেপরোয়া, নতুন ব্যবসায়ীরা অধরা

টেকনাফ প্রতিনিধি ::

আইন শৃংখলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযান চলমান থাকার পরও কোন মতেই মাদক ঠেকানো যাচ্ছেনা। স্থল ও নৌ-পথে সমান তালে ঢুকছে মাদক নামে ইয়াবা ট্যাবলেটের বহর। এমন কোন দিন ও রাত নেই যে, বিভিন্ন সংস্থা আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মাদক জব্দ হচ্ছেনা। এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি কেউ খুজে পাচ্ছেনা। মাদক কারবারীরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে মাদক পাচার ও ব্যবসা করেই যাচ্ছে। নির্বাচনী বছর হওয়ায় মাদক কারবারীরা নির্বাচনে মাদকের কালোটাকা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ের মালা পড়াতে এখন থেকে মাদক বাণিজ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, টেকনাফ সীমান্তে আসন্ন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদক হচ্ছে একটি ফ্যাক্টর। এ ফ্যাক্টরকে পূঁজি করে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সীমান্তের সচেতন মহল এবং জনপ্রতিনিধির অথ্যানুযায়ী টেকনাফে ৮০% শতাংশ মানুষ মাদকের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এর মধ্যে যুব সমাজ এগিয়ে। মাদক এবং কালো টাকার পেশিশক্তি এবং অর্থ ও বিত্তের মালিক হতে প্রতিযোগিতা চলছে পুরো সীমান্ত এলাকা জোড়ে। র্যাবের ৫টি কেন্দ্র টেকনাফে স্থাপিত হওয়ার পর সচেতনমহল আশা করেছিল, মাদক নামে ইয়াবা পাচার ও ব্যবসা নির্মুল হবে, আজ সে আশা ধুলিশ্যাতে পরিনত হয়েছে। ৫টি সংস্থা বিজিবি, র্যাব, কোষ্টগার্ড, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মাদক ঠেকাতে অভিযান চলমান থাকার পরও মিয়ানমার থেকে কিভাবে সীমান্তে মাদক ঢুকছে তা নিয়ে সীমান্ত এলাকার জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে। অভিযানকারী মাদক জব্দ ও আটক তথ্যের ভিক্তিতে অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফ পৌর এলাকা, হ্নীলা, টেকনাফ ও সাবরাং হচ্ছে, মাদক পাচার ও ব্যবসায় সবার শীর্ষে। এর মধ্যে সাবরাং নয়াপাড়া, পুরান পাড়া ও হারিয়াখালীতে প্রায় ৩ শতাধিক তালিকাভূক্ত ও নব্য মাদক কারবারী রয়েছে। এরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরে থাকলেও ওরা ধরাছোয়ার বাইরে থাকা মাদক পাচারের সাথে জড়িত ও ব্যবসাযীরা হচ্ছেন, পুরান পাড়ার শাহজাহান, শাহ কামাল, শাহ জালাল, আব্দুল করিম, বার্মাইয়া আবুল ফয়েজ, মুহিত কামাল, হারুনুুর রশিদ, বাজার পাড়ার আল মামুন, মোঃ শাকের, মোঃ আমিন, ছৈয়দ আমিন, মোঃ ছালাম, শব্বীর আহমদ, পুরান পাড়ার মোঃ শাকের, হাফেজ উল্লাহ, হারুন, মধ্য পুরান পাড়ার মহিব উল্লাহ, আব্দুর রহীম, আব্দুর রহমান (ছাত্র), নুর আহমদ, নুর আলম, মোঃ আলম, আলী আহমদ, শফিক আলম, দেলোয়ার শাহীন, মোঃ শফি, আব্দুল্লাহ, জিয়া, গুরাপুতু, মেহেদী হাসান, হেলাল সাদ্দাম, লিটন, মিল্কী, হেলাল, বাবলু, কালু মিয়া, জাহেদা খাতুন, নসিমা খাতুন, মহিবউদ্দিন, মতলব ও কলিমুল্লাহ। বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করুন। টেকনাফ মডেল থানার চেীকষ ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, আইন শৃংখলা ধ্বংসকারী মাদক কারবারী যেই হউক না কেন কাইকে ছাড় নাই। সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত: