ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পৌর কাউন্সিলরসহ ৪ মাদক কারবারির বাড়িতে অভিযান, নারীসহ দুই জনের সাজা

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া : বিশেষ প্রতিনিধি, চকরিয়া:
মাদকের বিস্তার রোধে কক্সবাজার জেলায় সরকারের গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযান চালানো হয়েছে চকরিয়ার দুই গডফাদারের বাড়িতে। বাড়িতে তল্লাশী চালানোর সময় কোন মাদকদ্রব্য না পেলেও তাদের আলীশান অট্টালিকা দেখে টাস্কফোর্স সদস্যরা নিশ্চিত হয়ে যান আসলেই তারা মাদকের কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। তবে এসব গডফাদারের সার্বিক কার্যক্রম গোয়েন্দা নজরদারিতেও রয়েছে বলে জানান টাস্কফোর্স সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জেলা শহর থেকে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গায় আসার পথে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের এক নারীসহ দুই ইয়াবা কারবারিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে টাস্কফোর্স। এ সময় দুইজনের হেফাজত থেকে ইয়াবা পাওয়ার পর একজনকে দুইবছর এবং নারীকে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
কারাদন্ড দেওয়া দুই ইয়াবা কারবারি হলেন উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ার মৃত মৌলভী মোহাম্মদ হোছাইনের ছেলে মোক্তার আহমদ (৪২)। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়ার পর দুইবছরের কারাদ- প্রদান করা হয়।
এছাড়াও একই ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ আলমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় আসমাউল হোসনা (২০) নামের এক নারীকে। এ সময় ওই নারীর ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেলে তাকে ৬ মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। তবে, দ-প্রাপ্ত ওই নারী রোহিঙ্গা বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খোরশেদ আলম চৌধুরী। সাথে ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) আবদুল মালেক তালুকদার, ডিবি পুলিশ, ও আনসার ব্যাটালিয়ানের বিপুল সংখ্যক সদস্য। আগে থেকেই টাস্কফোর্সের এই অভিযানের বিষয়টি অবগত করা হয় চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ওসিকে।
টাস্কফোর্সের এক সদস্য জানান, বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে অভিযান চালানো হয় তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি চকরিয়া পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিমের বাড়িতে। এ সময় টাস্কফোর্স সদস্যদের দেখে কাউন্সিলর রেজাউল করিম নিজেকে মহিউদ্দিন নামে পরিচয় দেন। এর পর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় গিয়ে তল্লাশী চালান চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেলের বাড়িতে। এ সময় তার বাড়িতেও তল্লাশী চালানো হয়। তবে দুইজনের বাড়িতে কোন মাদকদ্রব্য না পেলেও তাদের গতিপ্রকৃতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর আবদুল মালেক তালুকদার বলেন, সরকারের তালিকাভুক্তদের মধ্যে চকরিয়ায় যে দুইজনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে তাদের আলীশান অট্টালিকা দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি। এ সময় তাদের আয়ের উৎসের বিষয়ে জানতে চাইলেও নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি তারা।’

পাঠকের মতামত: