ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আলীকদম জোনের উদ্যোগে লামায় ‘সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন’ স্কুল প্রতিষ্ঠা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::   বান্দরবানের লামার দূর্গম জনপদে শিক্ষার সুযোগ হতে বঞ্চিত শিশুদের সু-শিক্ষিত করতে যাত্রা শুরু করল “সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন”। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আলীকদম জোনের উদ্যোগে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীনের পর থেকে যেখানে কোন বিদ্যালয় ছিলনা; দূর্গম সেই এলাকার পাহাড়ী-বাঙ্গালী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অপার সুযোগ সৃষ্টি হল।

স্থানীয়রা বলেন, আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মাহবুবুর রহমান পিএসসি’র একান্ত প্রচেষ্টায় লামা উপজেলার সন্ত্রাস প্রবণ দূর্গম গয়ালমারা এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হল। শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর/১৮) এই শিশু নিকেতনটি শুভ উদ্বোধন করেন আলীকদম জোনের সেনা কর্মকর্তারা। জম্ম থেকে যেসব শিশুরা কেবল সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখে আসছিল; সে শিশুরা এখন থেকে শিক্ষার মতো একটি মৌলিক অধিকার পেতে শুরু করেছে। আলীকদম জোন মূলত: এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুদীর্ঘ কাল থেকে শিক্ষা বিস্তারেও ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে সেনাবাহিনী আলীকদম জোন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করছে।

সেনা জোনের এই মহতি প্রয়াসে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার সহ এলাকার অন্যরা সহায়তা করেন। ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় জমি দিয়ে সহায়তা করেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ফলে দূর্গমের উপজাতি এবং অউপজাতি শিশুরা এখন থেকে শিক্ষা মুখি হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা সহ জনগনের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। দূর্গম গয়ালমারা গ্রামে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কমে আসবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

গয়ালমারা এলাকার ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন বলেন, গয়ালমারা এলাকাটি লামা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে এবং নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ কষ্টসাধ্য। স্কুল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি এখানে একটি স্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হলে এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

লামা উপজেলার সন্ত্রাস প্রবণ এলাকা গয়ালমারা গ্রামে সেনা কর্তৃপক্ষের এই উদার ও মানবিক প্রয়াসে উপজাতিরা খুবই মুগ্ধ হয়েছেন বলে সেখানকার হেডম্যান কারবারীরা জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: