ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ? নাকি বদ্ধজলাশয়!

বিশেষ প্রতিনিধি, চকরিয়া ::

গত কদিন আগেই একটি খেলার মাঠের অভাবে নদীর পাশে খেলতে গিয়ে বাবা-মায়ের বুক খালি করে অকালে ঝরে গেল ৫ টি তাজা প্রান, সেই শোকের মাতাম এখনো বয়ে চলছে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে।তখন থেকে চকরিয়ার স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবকদের প্রাণের দাবী প্রতিটি স্কুল আঙ্গিনায় গড়ে উঠুক খেলার মাঠ।আর সেই জায়গায় চকরিয়া উপজেলার বয়েজ স্কুল বৃট্রিশ আমলে গড়ে উঠা চকরিয়া সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি ছবির দিকে তাকালে নিশ্চই অবাল বৃদ্ধ বণিতা কারোই বুঝতে বাকি রইবেনা আসলে কি খেলার মাঠ নাকি কোন বদ্জধজলাশয়। পাঠকবৃন্দ যাই মনে করেন না কেন প্রকৃত অর্থে চকরিয়া সরকারি হাই-স্কুলের খেলার মাঠ। যেই স্কুলমাঠে অতীতে বসত উপজেলার সেরা ফুটবল আসর থেকে শুরু করে দেশের সরকার প্রধানের বেশ কয়টি জনসভার সভাস্থল।কিন্তু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ হওয়া, মাঠের পরিচর্যা ও  উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন অস্বাভাবিক রূপ ধারণ করেছে এ মাঠের।ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী চকরিয়া সরকারী পাইলট হাই স্কুলের মাঠটি। এই স্কুলের অবস্থান বর্তমানে চকরিয়া পৌরশহরের মূল কেন্দ্র ২নং ওয়ার্ডে হলেও খেলার মাঠের অভাবে শিশু-কিশোররা প্রতিদিন খেলতে পাচ্ছে না।

স্থানীয় জনসাধারণ বলেন,চকরিয়া সরকারী পাইলট হাই স্কুলের মাঠটি সবুজ ঘাসে ভরা ও ময়লা আর্বজনায় আচ্ছাদিত। যে ছবিটি দেখছেন, তবে ঘাসের নিচে মাটি নয়, আছে দুফুটের মতো পানি। এক কথায় এটি এখন একটি গ্রাম্য ডোবা বা জলাশয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ হওয়া, মাঠের পরিচর্যা ও  উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এমন অস্বাভাবিক রূপ ধারণ করেছে।

এক সময় এ মাঠে বড় বড় ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার আসর বসত, টুর্নামেন্টে সাব্বিরের মতো জাতীয় ফুটবলাররা খেলেছে। এখানে চকরিয়ার স্কুল-জোনের ফুটবল আসর বসতো, এখন ফুটবল মৌসুমে এ স্কুলকে অন্য স্কুলের মাঠে গিয়ে খেলতে হয়।

কিশোর ও যুব সমাজকে অন্ধকার গুহা, টেলভিশনের পর্দা ও মোবাইল স্ক্রিন থেকে স্বাস্থ্যকর পথে টেনে নিয়ে আসতে মাঠের (খেলাধুলার) কোন বিকল্প নেই। শুধু মাঠ হারিয়ে যাচ্ছে না; হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের যুব শক্তি। জাতীয় মানব সম্পদের  কাতারে যোগ হচ্ছে শারীরিক-মানসিক পঙ্গু নাগরিক।

‘চকরিয়ার যোগ্য প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক সমাজ’ এগিয়ে আসলে আমরা আমাদের সন্তানের জন্য আলোর পথ উন্মুক্ত করার প্রয়াস ঘটবে।

গত কদিন আগেই একটি খেলার মাঠের অভাবে নদীর পাশে খেলতে গিয়ে বাবা-মায়ের বুক খালি করে অকালে ঝরে গেল ৫ টি তাজা প্রাণ খসে গেল তখনো কক্সবাজার জেলার সর্ব্বোচ্ছ জেলা প্রশাসনের  নির্দেশ দিয়েছিলেন মাঠ ভরাটের জন্য, তারপরও কোন কাজ এই পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি।তাই সচেতন মহলের প্রাণের দাবী দ্রুত মাঠ সংস্কার ও খেলার উপযোগী স্টেড়িয়ামের জোর  দাবী।

এ বিষয়ে চকরিয়া পৌরসভার বাসিন্দারা বলেন, পৌর শহরের মূল বাণিজ্যক কেন্দ্রে ২নং ওয়ার্ডের অবস্থান। তৎমধ্যে এবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ ৭/৮অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে চকরিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ছাড়া আর কোথাও পর্যাপ্ত খেলার মাঠ নেই। ইতিপূর্বে একটি খেলার মাঠের অভাবে নদীর চরে খেলতে গিয়ে গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থীরা বাবা-মায়ের বুক খালি করে অকালে ঝরে গেল ৫ টি তাজা প্রাণ খসে গেল। সেই থেকে উপজেলার মাসিক বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল।উপজেলা চেয়ারম্যান আশ্বস্থ করেছিল কিন্তুু অদ্যবদি কোন কাজের দেখা না মেলায় ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবক মহল সংশয় প্রকাশ করেছেন । তারা জানান, আমাদের ছেলেমেয়েরা কখন খেলাধুলার উন্মোক্ত পরিবেশ ফিরে পাবে।তাই চকরিয়াবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে বিষয়টি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদারকির মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছি।

পাঠকের মতামত: