:: এম.আর মাহমুদ :: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা মহা বিপদে। ছোট যানবাহনে করে শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত কর্মস্থলে পৌছলে নানা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হচ্ছে। পরছেনা যেতে, পারছেনা আসতে। সরকার মহাসড়কে টম, অটো রিক্সা, লেগুনা বা চারপোকা চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও এসব গাড়ীর যাত্রী বহন থেমে নেই। ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় সড়ক দূর্ঘটনা। এতে খালী হচ্ছে অসংখ্য মায়ের বুক। আবার কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করে পরিবারের বোঝা হিসেবে দিন কাটাচ্ছে। দূর্ঘটনা রোদ কল্পে সরকার মহাসড়কে ছোট যানবাহন গুলো হঠাৎ করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় গাড়ীর মালিক, চালক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীরা বিপাকেই পড়েছে। এযেন মহা বিপদ। মহাসড়কে চলাচলরত এসব নিষিদ্ধ গাড়ীগুলো আটকাতে পুলিশ তৎপর। প্রতিদিনই এসব গাড়ী জব্দ করছে। তারপরও এসব গাড়ী চলছে। সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনাও ঘটছে। পুলিশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব গাড়ী আটক করে জরিমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছে। চকরিয়ায় দুটি পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় এগার জন যাত্রী মৃত্যু বরণ করার পর পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। এখন পুলিশ এসব গাড়ী চালানোর ক্ষেত্রে কঠোর হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের অবস্থা বড়ই বিপজ্জনক হয়ে দাড়িয়েছে। অন্যদিকে মহাসড়কে এসব গাড়ীর কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটা যাত্রীদের জন্য মুসিবদ। ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চকরিয়া অংশের ৩৯ কি.মি. এলাকার হাজার হাজার যাত্রী ও শিক্ষার্থী আপদ-বিপদ মুসিবদ নিয়েই যাতায়াত করছে। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো গাড়ী ক্রয়ের ক্ষমতা নেই বলে এসব মানুষ নিষিদ্ধ গাড়ী গুলোতে চলাচল করছে। এ শ্রেণীর মানুষগুলোই দূর্দশা না দেখলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। চকরিয়া পৌর সদরে মহাসড়ক অংশে বক্স রোট করে তিনভাগে বিভাজন করলেও মধ্য সড়ক দিয়ে বড় যানবাহন গুলো চলাচল করলেও ছোট যানবাহন গুলো পূর্ব ও পশ্চিমাংশের সড়ক দিয়ে যাতাযাত করছে। এতে সাধারণ মানুষ অনেকাংশে উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু এ দুই সড়কের সিংহ ভাগ অংশ প্রতিদিনই লেগে থাকে যানজট। পায়ে হাটার কোনো উপায়ই নেই। অপরদিকে টেকনাফ থেকে কর্ণফুলি সেতু পর্যন্ত পুরোটাই মহাসড়ক। এখানে কোন ছোট যানবাহন চলাচলের নির্ধারিত অংশ নেই। ফলে রাস্তার পাশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রারাসা ও হাট-বাজারে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষগুলো প্রতিনিয়তনই বিপদের মুখে পড়ছে। সরকার টমটম, অটো রিক্সা, লেগুনা বা চারপোকা আমদানি করেছে। এসব গাড়ী জীবিকার তাড়নায় অনেকেই ক্রয় করেছে। তবে গাড়ীগুলো গ্রামীণ সড়ক, আঞ্চলিক সড়কে চলাচল করার কথা থাকলেও মহাসড়কেই চলাচল করছে নিষিদ্ধ এসব গাড়ী। ফলে প্রতিনিয়তই বিপদ হচ্ছে যাত্রীদের। অনেকের মতে এসব গাড়ী চালকদের বেশিরভাগই অদক্ষ ও বৈধ কাগজপত্রহীন। আবার মহাসড়কে যারা বড় মানের গাড়ীগুলো চালায় তাদের মানষিকতা “হালকা শাস্তি, বেপরোয়া ভাব” চালকেরা ভাবে সাত খুন মাফ। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে ও রাস্তা প্রশস্থ না হলে সাধারণ মানুষের বিপর্যয় কোন ভাবে ঠেকানো যাবেনা।
প্রকাশ:
২০১৮-০৯-১৫ ১২:৩২:২৮
আপডেট:২০১৮-০৯-১৫ ১২:৩২:২৮
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
- চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দুই দোকান পুড়ে ছাই,
- চকরিয়ায় মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশের ক্যাম্পেইন
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতেই হবে
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- চকরিয়ার বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- চকরিয়ায় আ. লীগ নেতার গোয়ালঘর থেকে চোরাই গরু উদ্ধার
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- রামুতে বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজ আবাসিক প্রকৌশলী গৌতম চৌধুরীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় রাতের আধারে গরীব মানুষের ঘরের দরজায় গিয়ে শীতের কম্বল দিয়েছেন ইউএনও
- চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বার্ষিক পুনর্মিলনী ও অভিষেক
- চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে হাতি শাবকের ঠাঁই হলো
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- চকরিয়ায় পুলিশের জালে দুই ডাকাত, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
পাঠকের মতামত: