ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ঘরে ঘরে অভিযান দেশীয় অস্ত্রসহ ২৯ লাখ টাকা জব্দ, গ্রেফতার ২

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::  কক্সবাজার সদর, টেকনাফ ও রামুতে তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারীদের ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স। বিশেষ এই অভিযানে গত দু’দিনের দেশিয় অস্ত্রসহ মাদক বিক্রির ২৯ লাখ টাকা জব্দ এবং ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযানে তালিকার শীর্ষে থাকা আলোচিত কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীই ধরা পড়েনি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) ও টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. এএফএম মাসুম রব্বানীর নেতৃত্বে গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল জানান, ৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ী টেকনাফ উপজেলার নাজিরপাড়ার এনামুল হক মেম্বার, দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার রেজাউল করিম রেজা, মৃত আব্দুল গাফফারের ছেলে মোহাম্মদ মোজাম্মেল, সাবরাং এর শামসুল আলম মার্কিন, হ্নীলার ইউপি সদস্য মো. নুরুল হুদা, জামাল হোসেন ও হাসান আবদুল্লাহর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া একই দিনে কক্সবাজার সদরের বাসটার্মিনাল সংলগ্ন লারপাড়ার লাল মোহাম্মদের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ইয়াবা ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৭ টাকা জব্দ করা হয়। এসময় ইয়াবা রাখার দায়ে লাল মোহাম্মদের স্ত্রী সায়েরা খাতুনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এছাড়া ১০ সেপ্টেম্বর তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফের শীলবনিয়া পাড়ার হাজী সাইফুল করিম, পুরান পল্লানপাড়ার শাহ আলম, নাজিরপাড়ার জিয়াউর রহমান, শাহ পরীর দ্বীপের আনিসুর রহমান ইয়াহিয়া ও রেজাউল করিম রেজু মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রেজু মেম্বারের বাড়ি থেকে মাদক বিক্রির ২৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় রেজু মেম্বারের ভাই ফরিদ আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ সার্কেল পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) বাদী হয়ে আটক ফরিদ আহমেদকে মূল আসামি এবং রেজু মেম্বার ও তার অপর ভাই আব্দুল মাজেদকে পলাতক আসামি দেখিয়ে টেকনাফ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। একই দিনে কঙবাজার সদর উপজেলার লারপাড়ার আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান আনসারী ও তার দুই ভাই রশিদ আনসারী ও আবু সুফিয়ান আনসারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি রামুর জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান এম এম নুরুচ্ছাফার বাড়িতেও অভিযান চালায় টাস্কফোর্স।

দুই দিনের অভিযানে মোট ৭টি মামলা দায়ের করা হয়। জব্দ করা হয়েছে মাদকবিক্রয় থেকে প্রাপ্ত ২৯ লাখ ১০ হাজার ৭৫৭ টাকা, ১০০৫ পিস ইয়াবা, ৪টি রামদা, ২টি কিরিচ, ১০টি ছোরা ও ২টি ধামা। অভিযানে অংশগ্রহণ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বিভাগীয় গোয়ান্দা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক একেএম শওকত হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল, কক্সবাজার পুলিশের সিনিয়র এএসপি সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেন জানান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল।

পাঠকের মতামত: