ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সৌদি আরবে নিখোঁজের ৮ দিন পর মিলল পেকুয়ার আইয়ুব আলীর লাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি ::  সৌদি আরবে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশী প্রবাসী পেকুয়ার আইযুব আলীর মৃত দেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের জিজান জেলার আম্মুক নামক জায়গায় তার লাশের সন্ধান মিলে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। মৃত আইযুব আলী পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নতুন ঘোনা এলাকার মৃত সাঁচি মিয়ার পুত্র। নিহত আইয়ুব আলী গত (২ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের আল বিরিক আম্মুখ নামক জায়গা থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৮ দিন পর শুক্রবার তার লাশের সন্ধান পাওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে সৌদি পুলিশ।

এদিকে নিহতের ভাই ইউসুফ আলী দাবি করেছেন, তার ভাই আইয়ুব আলীকে অজ্ঞাত কারণে গুম করে হত্যা করেছে সৌদি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। তিনি ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। নিহতের পুত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রুবেল বলেন, আমার বাবা নির্দোষ। কেন আমার বাবাকে এভাবে হত্যা করা হলো এবং কেনইবা তার লাশ গুম করার চেষ্টা করা হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।

এদিকে আইযুব আলীর লাশ পাওয়া গেছে এমন খবরে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পুরো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে প্রায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। আইয়ুব আলীর লাশের ছবিও তার পরিবারের কাছে পাঠিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এলাকার লোকজন জানান, আইয়ুব আলীর ২৫ সদস্যের যৌথ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন তিনি। নিহতের একমাত্র ভাই ইউসুফ আলী একজন প্রতিবন্ধি। তাকে দেখাশুনা করতেন ভাই আইয়ুব আলী। ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেননা প্রতিবন্ধি ইউসুফ।

এলাকাবাসি জানায়, আইয়ুব আলী বিদেশে থেকেও সবসময় এলাকার লোকজনের খোঁজখবর নিতেন, আপদে বিপদে সাহায্য সহযেগিতা করতেন। কাউকে তিনি কখনো ফিরিয়ে দেননি। তার অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেননা কেউই। স্বজনরা দাবি করেন, অন্তত আইয়ুব আলীর লাশটি যাতে দেশে পাঠিয়ে দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের সন্তানকে শেষ বারের মতো দেখতে লাশ যেন দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে সরকার।

পাঠকের মতামত: