ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কোথায় যাচ্ছে এসব কুকুর?

বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিদিন ফাঁদ পেতে ধরা হচ্ছে শ-শ কুকুর

রাউজান সংবাদদাতা ::

কিছু উপজাতি যুবক বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিন গ্রামীণ বিভিন্ন জনপদ থেকে বেওয়ারিশ কুকুর ধরে নিচ্ছে। পথঘাট থেকে ফাঁদ পেতে ধরা এসব কুকুর তারা পিকআপে উঠিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে। রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছে কুকুর শিকারীরা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে পিকআপ নিয়ে ঘুরে। রাস্তাঘাটে কুকুর দেখলে বাঁশ রশি দিয়ে তৈরী করা ফাঁদ হাতে গাড়ী থেকে নেমে আটকিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয়দের মতে রাউজান থেকে গত কয়েক মাসে কয়েক’শ কুকুর ধরে নেয়া হয়েছে। এখনো এখানে তৎপর আছে কুকুর শিকারীরা।

প্রতিনিয়ত কুকুর শিকারীদের তৎপরতা দেখে এলাকার মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে পথঘাট থেকে ধরে নেয়া এসব কুকুর কোথায়–কি উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছে। এলাকার লোকজন বলছেন, কুকুর শিকারী উপজাতি যুবকদের কাছে ওসব প্রশ্নের উত্তর চেয়ে সঠিক তথ্য কেউ জানতে পারছে না। কুকুর কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন করলে শিকারীর দল থেকে শুধু উত্তর পাওয়া যায় ওসব কুকুরের মাংস খাবে। এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর নিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ জনপদ থেকে বেওয়ারিশ কুকুর গুলো ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির দিকে। এই কুকুর পাচার করা হয় আমাদের পার্বত্য জেলার সমূহের সাথে সংযুক্ত ভারতের রাজ্য সমূহে। সূত্র মতে কুকুর পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে একাধিক চক্র। পাচারকারীরা কুকুর ধরার কাজে চুক্তিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উপজাতি যুবকদের। সূত্র মতে ভারতের একটি আধিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে কুকুরের মাংস প্রিয় খাবার। তবে কোনো কোনো ব্যক্তির সন্দেহ রয়েছে কুকুরের মাংস হোটেল রেস্তোরায় সরবরাহ দেয়া নিয়েও। এলাকার সচেতন মহল মনে করেন আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সমূহের এই নিয়ে তদন্ত করা উচিত। তা না হলে কুকুর ধরা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহের ডালপালা বিস্তার করবে।

পাঠকের মতামত: