ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

লামায় তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস পালন

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, নন্দিত জননেতা তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল লামা উপজেলা ও পৌর শাখা। সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লামা বাজার প্রেসক্লাব সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক (কাউন্সিলর) মো. সাইফুদ্দিন। সরকারি মাতামুহুরী কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. শাহীন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক জীবনুর রহমান, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বিধান দাশ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু সুফিয়ান মেম্বার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সাফায়েত হোসেন রাসেল সহ প্রমূখ।

মো. সাইফুদ্দিন বলেন, সেনাসমর্থিত সরকারের নির্দেশে যৌথবাহিনী ২০০৭ সালের ৭ মার্চ ভোর রাতে তারেক রহমানকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। দিনের পর দিন রিমান্ডে নির্যাতন ও টানা ৫৫৪ দিন কারাবাসের পর সরকারের সাজানো সব কয়টি মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের এই দিনে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মুক্তি পান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিষ্ঠুর নির্যাতনে জননেতা তারেক রহমান মুক্তির পরও হাসপাতালের বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। এই অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় এ তরুণ নেতার জীবন এখনও বিপন্ন। গ্রেফতারের ১১ বছর পরও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি সরকার। মুদ্রা পাচারের মিথ্যা অভিযোগে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় নিম্ন আদালত থেকে খালাস পেলেও হাইকোর্ট তাকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাজানো মিথ্যা মামলায় আবারও তারেক রহমানকে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতকে ব্যবহার করে সাজা দিচ্ছে। তারা অভিযোগ করেন নিম্ন আদালত থেকে তারেক রহমান খালাস পেলেও সরকারের ইচ্ছায় তাকে রাজনীতি থেকে সরাতে এই সাজা দেয়া হয়েছে।

মো. শাহীন বলেন, বর্তমান সরকারও ১/১১’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে কীভাবে তারেক রহমানকে ফাঁসানো যায়, তাকে কীভাবে রাজনীতিতে আসতে না দেয়া যায় সে কৌশল নিয়েই মরিয়া। মামলা ও ঘৃণ্য অপপ্রচার এখনও চলছে সমানতালে। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির ঐতিহাসিক বিজয়ের নেপথ্য রূপকার ছিলেন তারেক রহমান। গ্রামগঞ্জে ঘুরে ঘুরে তৃণমূল সমাবেশ করে তিনি যেভাবে দেশের মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সেটা উপলব্ধি করেছে। তারা উপলব্ধি করেছে তারেক রহমানকে থামাতে না পারলে আগামী দিনের রাজনীতি তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তারেক রহমানের মাঝে শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক চরিত্রের প্রতিচ্ছবি দেখে আওয়ামী লীগ দিশেহারা। লন্ডনে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য যাতে বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ায় প্রকাশ না করা হয় আদালতের মাধ্যমে তার বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের পরও বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন হয়তো আসবে, মানুষের ভালোবাসার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার আবারও তারেক রহমানকে এ মাটিতে অভিবাদন জানাবে। মানুষ চাচ্ছে, সুস্থ হয়ে তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। সেদিনের প্রতীক্ষায় যেন বাংলাদেশ। এসময় আলোচনা সভা থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তি দাবী করা হয়।

পাঠকের মতামত: