ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

লামায় পাহাড় কেটে ইটভাটা !

জাকের উল্লাহ চকোরী, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ার সীমানাবর্তী বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার ৩০৬নং ফাইতং মৌজায় সরকারি পাহাড় কেটে ইট ভাটা নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিগত এক মাস ধরে স্থানীয় এটিএম ইসমাইল সিকদার নামে এক ব্যক্তি পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে সরকারি বাগানের বনজ গাছ-পালা এবং পাহাড় কাটা অব্যাহত রাখলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। যার কারণে এদিকে পাহাড় ধ্বস অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যয় আশঙ্কায় আতঙ্কিত জীবন-যাপন করছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার ৩০৬নং ফাইতং মৌজার চকরিয়ার মানিকপুর সীমান্ত ঘেষে আর হোল্ডিং নং ২২৭৮ লাগোয়া সরকারি বড়বড় মূল্যবান গাছ ও পাহাড় কেটে প্রশাসনের অনুমতি বিহীন পিবিএম নামে নতুন ইট ভাটা তৈরী করছে লামা উপজেলার নূনারবিল এলাকার মৃত ঠান্ডা মিয়ার ছেলে প্রভাবশালী এটিএম ইসমাইল সিকদার। বিগত এক মাস ধরে বিশাল আয়তনে পাহাড় দখলে নিয়ে সেখানে সৃজিত মূল্যবান বনজ ও ফলজ কেটে ফেলেছে। এরপর ওই পাহাড় স্কেভেটর দিয়ে কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করেছে এবং ইট ভাটা তৈরীর জন্য বিশাল মাটির স্তুপ করে রেখেছে।
পাহাড়ের গাছ ও মাটি কেটে ফেলায় যেকোন মুহুর্তে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটতে পারে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ অব্যাহত রাখলেও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরব থাকায় ভূক্তভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে মাস্টার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়ার মানিকপুর সীমান্ত ঘেষা পার্বত্য ফাইতং মৌজায় আর ২২৭৮ হোল্ডিংয়ের পাহাড়ে তার দুইটি বনজ ও ফলজ গাছের বাগান রয়েছে। অভিযুক্ত ইসমাইল সিকদার গং তার ইট ভাটায় গাড়ী চলাচলের সুবিধার্থে তার (মাষ্টার মনির) বন্দোবস্তিকৃত মালিকানাধীন সৃজিত বাগান সাবাড় করে ও স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে সড়ক নির্মাণ করে চলছে। এনিয়ে তিনি বাদী হয়ে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ইসমাইল সিকদার গংয়ের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞার মামলা করেছেন। তা উপেক্ষা করে ইট ভাটা তৈরীর কাজ অব্যাহত রেখেছে। ভুক্তভোগীরা বিজ্ঞ আদালত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পার্বত্য বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব আহমেদ জানান, ওই বিষয়ে ইতিপূর্বে কেউ অভিযোগ করেনি। এরপরও বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পিবিএম নামে নতুন কোন ইট ভাটার অনুমোদনের কাগজপত্রও তিনি পাননি বলে জানান।
পার্বত্য লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, সরকারী বনভূমি ও পাহাড় কেটে ইট ভাটা তৈরীর বিষয়টি খুবই দু:খজনক। তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ীশগগিরই অভিযানে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।

পাঠকের মতামত: