ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

লামায় এলজিইডি নির্মিত ৩টি জনগুরুত্ব্বপূর্ণ সড়কের মরণদশা!

৪ কোটি টাকার প্রকল্প কার্যত ভেস্তে গেল বান্দরবান প্রতিনিধি ::    সড়কের নির্মাণ এবং সংস্কার কাজে চরম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায়। বর্ষার প্রথমার্ধেই এ সড়ক ২টির নানাস্থানে ভেঙে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ ২টি সড়কের পেছনে খরচ করা হয়েছে প্রায় ৪কোটি ১০ লাখ টাকা। কার্যত রাষ্ট্রীয় কোষাগারের এসব অর্থ জনকল্যাণে আসেনি। উল্টো জনদুর্ভোগ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পথচারী এবং স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগ, দায়সারাগোছের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে সড়কের নির্মাণ কাজ করায় মূলত এ দশা বিরাজ করছে।

জানা গেছে,লামা উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) অর্থায়নে নির্মাণাধীন দুটি সড়কের নানাস্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। লাইনঝিরি থেকে সাবেক বিলছড়ি এলাকায় ৩ কিমি ৪০০ মিটার সড়কপথে নির্মিত হয়নি প্রতিরক্ষা দেয়াল এবং পাকানালা। অরক্ষিতভাবে নির্মাণ কাজের ফলে সড়কের ৮টি স্থানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।

রাস্তাটি কার্যত ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের সংষ্কার কাজের জন্য খরচ করা হয় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। কথিত জুনক্লোজিং–এর সময় অসাধু প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারী সংস্থার পরস্পরের যোগসাজশেই চার নাম্বারী কাজ করায় সড়কের এই করুণদশা বিরাজ করছে বালে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নাগরিক কামাল আহমদ,নুরুল ইসলাম এবং বাদশা মিয়া।

সুত্র জানায়, এম.ডি ইউনুচ এন্ড ব্রাদার্সের উদ্যোগে রুপসীপাড়া সেতুর মুখ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ মিটার দীর্ঘ ইটের রাস্তা, ৩৫ মিটারের একটি সেতু,৭টি কালভার্ট এবং টু–য়াল নির্মিত হয়েছে। এসব কাজও দ্রুত সময়ে শেষ করা হয়েছে গত জুনের মধ্যেই। ব্যয় করা হয় ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

ওইসব কাজে নিম্নমানের বিটুমিন এবং অন্যান্য নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই সড়কসহ নির্মিত কাঠামোসমুহের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগের মাত্রাও।

ওই কাজের ঠিকাদার নুরুল আবছার এবং ইউনুচ প্রাদার্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢলে এসব রাস্তার কাজ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে রাস্তার কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে বৃষ্টিপাতের কারণে।

লামা উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন চকরিয়া নিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অতির্বষণে পাহাড়ি ঢলের ফলে পানিতে সাবেক বিলছড়ি এবং রুপসীপাড়া সড়কটির নানা স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নির্মাণ কাজের মান বজায় রাখা হয়েছে এবং অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি।

পাঠকের মতামত: