ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

তাসফিয়া মৃত্যুরহস্য: হত্যা নয় আত্মহত্যা!

অনলাইন ডেস্ক ::

রহস্যবৃত তাসফিয়ার মৃত্যুর কারণ ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে যাচ্ছে। পুলিশের তদন্ত, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্টেও তথ্য সবই আত্মহত্যার দিকে। সর্বশেষ আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অপেক্ষা করেছিল পুলিশ।

আদনানকে রোববার (২৯ জুলাই) আদালত প্রাঙ্গনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আজ আদালতে আদনানের রিমান্ড শুনানীর পর আদালত প্রাঙ্গণে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয় নারী ও শিশু আদালতের (পঞ্চম) বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস। এতে আদনানের কাছ থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানতে চান। তাসফিয়ার দ্বিতীয় প্রেমিক আছে কিনা ? তাসফিয়ার পারিবারিক অশান্তি কি ? এছাড়াও চায়না গ্রীলে উঠার সময় প্রায় ১১ মিনিট সময় আদনান কোথায় ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক স্বপন সরকার।

তাসফিয়ার ধর্ষণ এবং বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে কিনা তা জানতে ভিসেরা রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত তদন্ত রির্পোটও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে রয়েছে। ময়নাতদন্তে তাসফিয়ার মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তাসফিয়ার পেঠের মধ্যে প্রচুর পানি পাওয়া গেছে। শ্বাসনালীতে রয়েছে কাদাময়লা।
খবর:  সিভয়েস
এ ব্যাপারে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ সিভয়েসকে বলেন, তাসফিয়ার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে আমরা ফাইনাল কিছুই এখনো প্রকাশ করিনি। এটির এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। তবে সব তথ্য প্রমাণ এখন আত্মহত্যার দিকেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক স্বপন সরকার সিভয়েসকে বলেন, তাসফিয়ার ভিসেরা রির্পোটে তাসফিয়ার শরীরে বিষক্রিয়ার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, ধর্ষণের কোন প্রমাণও নেই। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়ার দিকেই। এছাড়াও এ মামলার সব আসামি গ্রেফতার আছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব তথ্য রিপোর্টে বুঝা যাচ্ছে এটি আত্মহত্যা।

প্রসঙ্গত, গত ২ মে বুধবার সকালে তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার রাতে তাকে পতেঙ্গা সৈকতের ১৮ নম্বর ঘাটে দেখে স্থানীয়রা। তাসফিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিক আদনান মির্জাসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তাসফিয়ার বাবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন।

এতে আদনান মির্জা ও আসিফ মিজান, ফিরোজ গ্রেফতার রয়েছে পুলিশের হাতে। শুরুতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও এটি একটি আলোচিত ঘটনা হওয়ায় ছায়া তদন্তকারী হিসেবে কাজ করছে র‌্যাব, সিআইডি ও পিবিআই। তাসফিয়ার মৃত্যুর কারণ নির্ণয় না হওয়ায় অন্ধকারে ঘোরপাক খাচ্ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে সর্বশেষ মামলাটি তদন্ত করার জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত: