ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বদরখালী আজম নগর মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ১ মাস ধরে পলাতক

সালাম কাকলী, মহেশখালী :

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী আজম নগর মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার নুর আহমদ শিবলীর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে স্থানীয় সাংসদ, চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ স্থানীয়রা। বিভিন্ন দূনীতির অভিযোগে উক্ত সুপার ১ মাস ধরে মাদ্রসায় অনুপস্থিত থাকায় অন্যান্য শিক্ষকদের প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছে। এই অনিয়ম নিরসন না হলে উক্ত ভারপ্রাপ্ত সুপারের কারনে প্রতিষ্ঠানটি পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

১৯৮৪ সালে বদরখালী আজমনগর এলাকায় মজিদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি স্থাপিত হওয়ার পর উক্ত মাদ্রাসাটি ১৯৮৭ সালে এমপিও ভূক্ত হয়। মাদ্রাসায় সুপারের পদটি খালি থাকায় ২০০০ সালে মার্চ মাসে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক নুর আহমদ শিবলীকে চকরিয়া উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন জামান ভূঁইয়া ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে তাকে নিয়োগ দেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে উক্ত সুপার ক্ষমতা অপব্যবহার করে ৫ বছর ধরে অনুপস্থিত থাকায় আক্তার নামের এক শিক্ষকের বেতন উত্তোলন করে ৯-৬ করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছে।

এছাড়া সরকার থেকে পাওয়া টিউশিনের ভাতা ৪ কিস্তিতে প্রায় ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে শিক্ষকদের না দিয়ে নিজের অনুকূলে রেখে দিয়েছে। অপরদিকে মাদ্রাসার জমি বন্ধক দিয়ে নিজের জন্য খরচ করাসহ শিক্ষকদের নামে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে পর্যায়ক্রমে নিজেই পকেস্থ করেছে। ফলে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে উক্ত মাদ্রাসা ভিজিট করলে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য উক্ত ভারপ্রাপ্ত সুপারকে নির্দেশ দিলেও তা এখনো ফেরৎ দেয়নি। এছাড়া ২০১৩ সালে মার্চ মাসে উক্ত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কমিটি গঠনে উক্ত সুপার বিভিন্ন গড়িমসি করতে থাকে। ফলে শিক্ষক, অভিভাবক এবং এলাকাবসাীর বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা শিক্ষা অফিসের এক পরিপত্রের আলোকে বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর ঐ মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, সহ-শিক্ষক মো: নাইমুদ্দিন ও সাবেক ইউপি সদস্য মো: ইছাক দিয়ে একটি অস্থায়ী কমিটি গঠন করার জন্য ভারপ্রাপ্ত সুপারকে নির্দেশদেন। কিন্তু এ নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কমিটি গঠনে কালবিলম্ব করতে থাকে।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে ২০ জুন মাদ্রাসা বোর্ড থেকে এক চিঠির আলোকে ভারপ্রাপ্ত সুপারকে অবগত করেন যে, একটি এড্হক কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেয়। তাও তোয়াক্কা না করে কমিটি গঠন না করে বিলম্ব করায় কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: ইলিয়াছ গত ২৬ জুন উক্ত সুপারকে ডেকে স্থানীয় মুরব্বী ডাক্তার মোহাম্মদ সলিমুল্লাকে প্রদান করে একটি কমিটি গঠন করে ২১ জুলাই তারিখে কমিটির লোকজন নিয়ে সাংসদের কাছে যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু অভিযুক্ত উক্ত সুপার নিজের ব্যবহারিত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে ঐ দিন সাংসদের কাছে যায়নি। ফলে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো: ইলিয়াছ থেকে বরাদ্ধ পাওয়া ৫ লাখ টাকার ডিউ মাদ্রাসাকে দিতে বিভিন্ন আইনী জটিলতা দেখা দিয়েছে। ১ মাস যাবত উক্ত সুপার অনুপস্থিত থাকার ঐ এলাকায় চলছে উক্ত সুপারের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ।

পাঠকের মতামত: