ঢাকা,বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

হজযাত্রী দিয়ে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা টেকনাফে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টেকনাফ ::
বিদেশে সন্তানের জন্য পিতা ‘হাদিয়া’ পাঠাচ্ছেন। কিন্তু প্যাকেট চেক করে দেখা যায় সুন্দরভাবে মোড়ানো একটি প্যান্ট, প্যান্ট খুলে নাড়াচাড়া করলে বেরিয়ে আসে ৩ হাজার পিস ট্যাবলেট। এমন একটি মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের একটি শীর্ষ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন সিনিয়র শিক্ষকের সাথে।

ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘গোদারবিল বায়তুশ শরফ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল জলিল ২১ জুলাই পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাবেন। খবর শুনে সৌদি আরবের আতœীয়-স্বজনের জন্য হাদিয়ার প্যাকেট দিয়েছেন অনেকে। গত ২১ জুলাই মাওলানা আবদুল জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে একজন ১২ বৎসর বয়সের ছোট মেয়ে ভাইয়ের জন্য একটি প্যাকেট নিয়ে আসেন। মাওলানা আবদুল জলিল ও তাঁর আত্মীয় সাবরাং এর মাওলানা ফিরোজ হাদিয়ার প্যাকেট খুলে চেক করে দেখেন। হাদিয়ার প্যাকেট খুলে দেখা যায় সুন্দরভাবে মোড়ানো একটি প্যান্ট ও একটি লুঙ্গি, প্যান্ট ও লুঙ্গির সেলাইয়ের ভিতরে প্রায় ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে মাওলানা আবদুল জলিলের প্রায় জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়, হাদিয়ার প্যাকেটে ইয়াবা দেখে চরম হতাশা ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রেরকের ঠিকানা টেকনাফ সদরের মাঠ পাড়া গ্রামের বাইলা, প্রাপক রমজান আলী, সৌদি আরব। উপস্থিত লোকজন দ্রুত ইয়াবাভর্তি হাদিয়ার প্যাকেট আগুন দিয়ে নষ্ট করার পর গোদারবিল বায়তুশ শরফ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবদুল জলিল বাসা থেকে রওয়ানা করেন। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এনাম মিয়া বলেন, আজ এই হুজুর যদি ইয়াবা নিয়ে আটক হলে হাজিদের সম্মান, আলেমদের সম্মান কোথায় গিয়ে দাঁড়াত, কেউ তখন একেবারে বিশ্বাস করত না হুজুর অন্যজনের হাদিয়া নিতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন’।
এদিকে এমন একটি ঘটনা টেকনাফের সাধারণ মানুষের মনে চরম আশংকা দেখা দিয়েছে। টেকনাফের প্রতিটি পরিবারের লোকজন দেশের বাইরে থাকেন, এ ঘটনায় কার হাদিয়া কে নেবে, কি হবে, বিশেষ করে মাদরাসার প্রায় হুজুর বিদেশ যাওয়ার সময় অনেকের হাদিয়া নিয়ে যান। তারাও আগামীতে কিভাবে এসব সহযোগিতা করবেন। এ ব্যাপারে আইনের চেয়ে মানুষের মন মানসিকতা বদলানো খুব প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: