ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লামায় মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ২ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ “নিরাপত্তাহীনতা বাদী পরিবার”

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

লামায় এক নিরীহ নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২ আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত। আদালতের দেয়া সমনের প্রেক্ষিতে সোমবার (২৩ জুলাই) আসামীরা হাজিরা দিতে আসলে উভয় পক্ষের আইনজীবিদের যুক্তিতর্ক শুনে ৫ মধ্যে ৩ জনকে জামিন ও ছাবের আহমদ, রেজাউল করিম এর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কাঁঠালছড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মোতাহারা বেগম (২৫) কে গত ২১ জুন ২০১৮ইং বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ঘরে প্রবেশ করে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে পার্শ্ববর্তী ছাবের আহমদ (৪০), রেজাউল করিম (২৩), জিয়াবুল করিম (২০), জিন্নত আলী (৪০) ও মোস্তাফিজ (২৪)। এসময় আসামীরা বাদীর ঘর থেকে ১ জোড়া স্বর্ণের কানের ফুল মূল্য ১৮ হাজার টাকা, ১টি আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ২৩ হাজার টাকা ও জায়গা খরিদ করার জন্য ঘরে রক্ষিত নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় নিরীহ গৃহবধু মোতাহারা বেগম ২দিন লামা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৫জনকে আসামী করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলা দায়ের করে। সিআর মামলা নং- ১০৮/১৮, তারিখ- ২১ জুন ২০১৮ইং।

মোতাহারা বেগম বলেন, আসামীদের দলবল ভারী। আমার স্বামী নেই। আমি নিরীহ মহিলা। মামলা করে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তারা আমাকে কেটে বস্তায় ভর্তি করে কাঁঠালছড়া খালে ভাসিয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তারা উশৃংখল হওয়ায় এলাকার কোন শালিসদাররা তাদের বিচার করেনা। জামিনপ্রাপ্ত জিয়াবুল করিম, জিন্নত আলী ও মোস্তাফিজ আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তারা সোমবার বিকেলে বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করতে চেয়েছিল। আমি ঘর থেকে বাহির না হওয়ায় বেঁচে যায়।

এই বিষয়ে ছাবের আহমদের মুঠোফোনে কল দিলে তার মেয়ে পিংকি আক্তার বলেন, মোতাহারা বেগমের অভিযোগ সত্য নয়।

কাঁঠালছড়া পোয়াং বাড়ি মসজিদের সভাপতি মো. ইউনুচ বলেন, ছাবের আহমদ সহ সবাইকে মসজিদের জায়গা থাকতে আমরা সুযোগ দিয়েছি। এই ফাঁকে ছাবের মৌজা হেডম্যান হতে একটি রিপোর্ট নিয়ে মসজিদের জায়গা তার নিজের বলে দাবি করে এবং অন্যদের তুলে দিতে গেলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন ছাবের লোকজন নিয়ে মোতাহারা বেগমকে অতিরিক্ত মারধর করে। এইভাবে মানুষ মানুষকে মারে না।

বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মৃদুল বড়–য়া বলেন, ঘটনার বিবরণ শুনে মহামান্য আদালত মামলাটি ৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ ও ৩৮০ ধারায় আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সোমবার আদালত অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে জামিন দেন ও ২ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

পাঠকের মতামত: