ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাঁশখালীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন,অবাধে বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ::
শঙ্খ নদীতে উত্তর পুকুরিয়া ও খানাখানাবাদের ঈশ্বর বাবুর হাট এলাকায় বালু ব্যবসায়িরা ৮টি ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ ভাবে শঙ্খ নদী হতে বালু উত্তোলন ও বিক্রির মহাল বসিয়েছে। প্রতিদিন ১২/১৪শত টাকা দামে ট্রাক যোগে বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকার শঙ্খ নদীর বালি। লাভবান হচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি।

নদী শাসন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে অপরিকল্পিত ভাবে বালু তোলার কারণে হাজার হাজার বসত বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। ক্ষতির শিকার হচ্ছে পুকুরিয়ান ইউনিয়নের তেচ্ছি পাড়া, বৈলগাও,পশ্চিম সাধনপুর রাতারকুল, জেলে পাড়া, খানখানাবাদ ইউনিয়নের রায়ছটা গ্রাম। বালু দস্যুদের ব্যাপারে স্থানীয় জনগণ উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল প্ওায়া যায়নি। পুকুরিয়া তেচ্ছি পাড়া বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুকুরিয়া তেচ্ছি পাড়া এলাকায় বালু উত্তোলনে বাধাগ্রস্ত হয়ে দু’মাস বন্ধ থাকার পর আবার বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে অস্ত্র মহড়া চলছে। যেকোন মুহূর্তে বড় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। এই ব্যাপারে শঙ্খ নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর এক পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া ও খানাখানাবাদ ইউনিয়নের শঙ্খ নদীতে ড্রেজার বসিয়ে মৌলভী ছগির, ফরহাদ, নুরুল আজিজ, দেলোয়ার, ফরমান, জিয়াউর রহমান, ইছহাক, মামুন, এনায়েত আলী, মোহাম্মদ সেলিম, কাউছার, মোজাহেরুল ইসলাম, মেম্বার কামরুল, মো. সেলিম উদ্দিন, ফরহাদ হোসেন দীর্ঘদিন থেকে বালু উত্তোলন করে, বালুর বহাল বসিয়ে ব্যবসায়িরা ট্রাক প্রতি ১২/১৪শত টাকা দামে ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে শঙ্খ নদীর বালি বিক্রি করছে। সরেজমিনে গত বৃহষ্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার শঙ্খ নদীর কিনারে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর পুকুরিয়া ৬টি ড্রেজার নদীতে বসিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। একই ভাবে খানাখানাবাদ ইউনিয়নে রায়ছড়া গ্রামে ঈশ্বর বাবুর হাট এলাকায় শঙ্খ নদীতে ৩টি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিদিন শঙ্খ নদীর কিনারে বসতবাড়িগুলো জোয়ারের পানিতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন শঙ্খ নদী গ্রাস করে নিচ্ছে বসত বাড়ি। গৃহহারা মানুষগুলো আশ্রয়ের জন্য নতুন ভাবে পাহাড়ে বসতি স্থাপন করছে। সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি শঙ্খ নদীর পাড়ে বসবাসকারী শত শত পরিবার গৃহহারা হয়ে পথে বসেছে। বাঁশখালী সীমান্তে পুকুরিয়া, সাধনপুর, খানখানাবাদ ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত শঙ্খ নদীতে দিন রাত বালু উত্তোলন করছে অসাধু বালু ব্যবসায়িরা। সরকারি ভাবে বাধা না থাকায় ড্রেজারের সংখ্যার পাশাপাশি বালুর মহালও বাড়ছে। শঙ্খ নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় অপর দিকে আনোয়ারা অংশে জেগে উঠছে চর। এই চর দখল নিয়ে দুই উপজেলান বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির পাশাপাশি সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, শঙ্খ নদী হতে বালু উত্তোলনের ব্যাপারটি আমার জানা নাই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

পাঠকের মতামত: