ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘সীমান্ত থেকে ইয়াবার কারখানা সরাবে মিয়ানমার’

imagesবিডিনিউজ :
বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার রোধে মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকা জুড়ে এই মাদক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ সদর দপ্তরে ‘জব্দ করা মাদক মাদক ধ্বংস করার’ জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মাদক তৈরি না করলেও কুফল ও ছোবলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। মিয়ানমার তৈরি করে ইয়াবা আর ভারত তৈরি করে ফেনসিডিল।”বাংলাদেশ ও মিয়নমারের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, “তারা ‘বর্ডার এলাকায় ইয়াবা তৈরির কারখানা থাকার কথা’ স্বীকার করে সেগুলো সরিয়ে নিয়ন্ত্রণ করবে বলছে।”আলোচনার মাধ্যমে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব কারখানা দ্রতই সরাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “তারা আমাদের কথা দিয়েছে, ফেনসিডিলের কারখানাগুলো ‘বর্ডারসাইড’ থেকে বন্ধ করে দেবে এবং ক্রমান্বয়ে তারা তা করছেও।” সীমান্তজুড়ে এসব মাদকের কারখানা বন্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।মাদকের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দ্রুত বিচারে সফলতা পাওয়ার কথা জানিয়ে কামাল বলেন, “সাক্ষীর অভাবে মাদকের কারবারিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পরও দ্রুত জামিন পেয়ে যায়।”অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, “সমুদ্র পথে ইয়াবা পাচার রোধে নজরদারি বাড়ায় পাচারকারীরা রুট পরিবর্তন করেছে। এখন কক্সবাজারের পরিবর্তে বরিশাল ও পটুয়াখালী দিয়ে ইয়াবা পাচারের চেষ্টা চলছে।”এসময় সাগরপথে নজরদারি জোরদারের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নতুন বোট ও সরঞ্জাম চান র‌্যাব প্রধান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন পাঠ্যপুস্তকে মাদকের খারাপ দিকগুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।“আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব না। মাদক নির্মূলে আমরা যারা জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ আছি তাদের এগিয়ে আসতে হবে।”দলে কোনো মাদকাসক্তকে স্থান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির বলেন, “আমরা যারা রাজনীতিবিদ আছি তাদের আগে শপথ নিতে হবে, ‘কোনো মাদকাসক্তকে আমরা দলে স্থান দেব না’।“আমরা যারা বড় পদে আছি আমরা জানি কোন ছেলেমেয়ে মাদক গ্রহণ করে। আমরা তাদের দলে কোন পদ দেব না- সেই শপথ আগে আমাদের নিতে হবে।” অনুষ্ঠানে র‌্যাব সদর দপ্তরে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার করা ৪৫ লাখ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, প্রায় ১৫৩ কেজি গাঁজা, চার হাজার ৩১৯ বোতর ফেনসিডিল ও বিদেশি মদ ও বিয়ার ধ্বংস করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাংসদ এমএ লতিফ, সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশরার রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল ম-ল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে কর্নেল মিফতা উদ্দিন ছাড়াও স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক এবং দুই মাদকাসক্ত যুবক তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চন্দনাইশের সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌদুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা শফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনসহ বিভিন্ন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। – See more at: http://www.dainikcoxsbazar.net/?p=82936#sthash.aJPwL8AA.dpuf

পাঠকের মতামত: