ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

“অ-বাজি ফেসবুকে শেষ গরি-দিয়ে, আর পোয়া গোল্ডেন ফেল গইজ্জে”

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::আজ ১৯ জুলাই সারাদেশে একযোগে এইচ এস সি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। একজন অভিভাবক পরীক্ষার ফলাফল জানতে রুপালী শপিং কমপ্লেক্সের ২য় তলায় অবস্থিত এক কম্পিউটারের দোকানে এসে

ছেলের রোল নং দিয়ে রেজাল্ট শিট জানতে পারল তার স্হেনের গর্বিত ছেলেটি কোন বিষয়েই পাস করেনি। অর্থাৎ সব বিষয়ে গোল্ডেন ফেল করেছে। তখন ওই অভিভাবক কান্না জড়িত কণ্ঠে বলল ” অ-বাজি ফেসবুকে শেষ গরি-দিয়ে, আর পোয়া গোল্ডেন ফেল গইজ্জে” ।পোয়ারে হইলাম আই টমটম চালাই, ৩০হাজার টিক্কা মোবাইল ন-লইচ। পোয়া আরে হইয়েদে পন্না বে¹িন মোবাইলর ভিতর। রেজাল্ট শিট লই ঘরত যেত্তে গেইয়ি পোয়া হদ্দে অ-বাজি আই অল বিষয়ত এফ পাইয়ি। ইবার নাম গোল্ডেন ফেল। এ হথা আই নবুজি প্রাইভেট কারত চরি নলবিলা গেইটের আগে কলেজত যাতে এন্ডিল্লা ও¹া স্যারতুন পোছার লইলাম যে তোয়ারা এই কলজত হন পন্না নপরায় নাকি! এতেল্লাই আর পোয়া গোল্ডেন ফেল গইজ্জে। টমটম নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে আমার ছেলের এক বন্ধুর সাথে

যখন সাক্ষাৎ হল তখন সে আমাকে জানাল রাত-দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২০ ঘন্টা আপনার ছেলে মোবাইলে নিয়ে ফেসবুকে লেখা পড়া করেছে। তখন অভিভাবকটি কান্না জড়িত কন্ঠে বলল “অ-বাজি ফেসবুকে আর পোয়ারে শেষ গরি-দিয়ে”
কক্সবাজার জেলার বৃহত্তম উপজেলার চকরিয়া উপজেরার সর্বোচ্চ বিদ্যালয় “চকরিয়া সরকারী বিশ^বিদ্যালয় কলেজ” এ কলেজে এবারে সকল বিভাগ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৭২৬জন ছাত্র-ছাত্রী। তৎমধ্যে ফেল করেছে ৫৩৭জন। পাস করেছে মাত্র ১৮৯জন। মোট পাসের শতকরা ২৬%। অথচ শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ রয়েছে সর্ব নিন্ম ৩০% পরীক্ষার্থী পাস করতে হবে।
কিন্তু একটি সু সংবাদও আমাদের রয়েছে। জেলার অন্যতম কক্সবাজার সরকারী কলেজে সকল বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯২২জন। তৎমধ্যে পাস করেছে ৮৩৬জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২জন ছাত্র-ছাত্রী। ফেল করেছে মাত্র ৮৬জন।। উল্লেখ্য চকরিয়ায় ৬টি কলেজের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে চকরিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।

পাঠকের মতামত: