বান্দরবান থেকে প্রতিনিধি :
বান্দরবানে পাহাড় ধসে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়লেও থামছেনা অবৈধভাবে পাহাড় কাটা। রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বান্দরবানের লেমুঝিরি পাড়ায় মৎস খামারের রাস্তা নির্মাণের নামে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটছে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ক্ষতাসীন দলের নেতা জামাল চৌধুরী। তার দেখাদেখি আশপাশের আরো ৩টি স্থানে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসবে মেতেছে কয়েকজন ব্যাক্তি।
মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের লেমুঝিরি এলাকায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে,সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাল চৌধুরী স্কেভেটর দিয়ে বিশাল একটি পাহাড়ের একপাশ কেটে ইতিমধ্যে সাবাড় করে ফেলেছেন। মৎস্য খামার থেকে মায়াবন পাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদের তোক বরাদ্দ এবং ব্যক্তিগত অর্থায়নে পাহাড় কাটছেন। পাহাড়ের মাটি কেটে ডেইরি ফার্ম গড়ে তোলার আরেকপাশে ভরাট করা হচ্ছে। অপরদিকে তার দেখাদেখি লেমুঝিরি বম ছাত্র হোস্টেলের পাশ্ববর্তী এবং লেমুঝিরি থেকে মায়াবন পাড়ার মধ্যবর্তী আরো ৩টি স্থানে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড় কেটে ট্রাকে করে নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে নীচু জমি। খবর পেয়ে সোমবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (্ইউএনও) শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনাস্থলে পাহাড় কাটা বন্ধ করে দেন। তবে ঘটনাস্থলে কাউকে না পাওয়ায় কাউকে আটক ও জরিমানা করতে পারেনি ইউএনও। এবং (্ইউএনও) শারমিন আক্তারের চলে আসার পর রাতে আবার স্কেভেটর পাহাড় কাটা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দার তাহেরা বেগম, জানে আলম’সহ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সোমবার’রাতেও স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটা হয়েছে। সকালে ভোরবেলা এবং রাতের বেলায় পাহাড়ের মাটি কাটা হয়। দিনের বেলায় স্কেটর চালায়না। কিন্তু শ্রমিক দিয়ে পাহাড়ের কাটা মাটিগুলো সরিয়ে সমান করার কাজ করে। লেমুঝিরি পাড়ায় পাহাড় ধসে গতবছর শিশু’সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়। তারপরও পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছেনা। স্কেভেটর দিয়ে যেভাবে খাড়া পাহাড় কাটা হয়েছে বৃষ্টিতে যে কোনো মুহুর্তে পাহাড়টি ধসে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
সদর উপজেলা ভাইস জামাল চৌধরী বলেন, ব্যক্তি স্বার্থে নয়, জনস্বার্থে পার্বত্য জেলা পরিষদের তোক বরাদ্দ এবং ব্যক্তিগত অর্থায়নে পাহাড় কেটে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। আমার খামার বাড়ি থেকে মায়াবন পাড়া পর্যন্ত চলাচলের কোনো রাস্তা নেই। উন্নয়ন কাজের স্বার্থে পাহাড় কাটার নিয়ম আছে। তাই স্থানীয়দের স্বার্থে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তাটি তৈরি করছি। পাহাড়ের ভারসাম্য রক্ষা এখানে আমার একটি ডেইরি ফার্ম করার স্বপ্ন রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন জানান, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট পাঠানো হয়েছিল লেমুঝিরি পাড়ায়। কিন্তু কোনো লোকজন না পাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। পাহাড় কাটার অনুমতি নেই। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন কঠোর ভূমিকায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: চলতি বছর পাহাড় ধসে বান্দরবানের ঘুমধুমে ৩ জন, লামায় ৩ জন এবং জেলা শহরে ১ জনের মৃত্যু হয়। গতবছর এ লেমুঝিরি এলাকায় পাহাড় ধসে শিশু’সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়।
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: