ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

এএসপির মদদে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে চকরিয়ায় নিরীহ লোকজনকে ঘরছাড়ার অভিযোগ

যুগান্তর ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি চাঁদাবাজি মামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলা সম্পাদক ও জাতীয় কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি খোরশেদ আলমসহ (৫৫) অনেক লোকজন ঘরছাড়া হয়ে গেছে।

বুধবার চকরিয়া থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেছেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সর্কেলের এএসপি জাহাঙ্গীর আলমের শ্যালক চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ফারুক মোহাম্মদ রুবেজ।

ওই মামলার প্রধান আসামি মো. সাইফুদ্দিনকে মঙ্গলবার রাতে থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, কোনো নিরীহ ব্যক্তি আসামি হয়ে থাকলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এএসপি সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিনিধিকে বলেছেন, এ বিষয়টি আপনার নয়, এ ব্যাপারে আপনি নাক গলাবেন না।

চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড়ের মৃত নুরুল আলমের ছেলে ফারুক মোহাম্মদ রুবেজ তার মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছেন, ৩ জুলাই উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের মো. সাইফুদ্দিনসহ আসামিরা তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ায় তার ওপর হামলার কথাও আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ওই দিন এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু বোনের জামায় এএসপি সার্কেল জাহাঙ্গীর আলমের প্রভাব খাটিয়ে ও তার হস্তক্ষেপে এ মামলাটি রুজু হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, শুনেছি বাদী ফারুক মোহাম্মদ রুবেজ ও ১নং বিবাদী মো. সাইফুদ্দিন পরস্পর আত্মীয়। ওই মামলার বাদী-বিবাদী কাউকে আমি চিনি না, তাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্কও নেই। তারপরও অজ্ঞাত কারণে আমাকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

সাইফুদ্দিনের স্ত্রী জয়নব আরা জানান, রুবেজ তার মামাতো ভাই। তাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তার বোনের জামাই এএসপি জাহাঙ্গীর আলম প্রভাব খাটিয়ে এই মিথ্যা মামলাটি রুজু করেছেন।

খোরশেদ আলমকে ওই মামলায় আসামি করায় জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাজী বশিরুল আলম নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ওই মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করা না হলে আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেব।

এদিকে মামলার বাদী ফারুক মোহাম্মদ রুবেজের বক্তব্য নিতে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। চকরিয়া থানায় এ ধরণের মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনা টক অব দ্যা চকরিয়ায় পরিনত হয়েছে।

পাঠকের মতামত: