ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ায় আবারও ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি

হাবিবুর রহমান সোহেল, নাইক্ষ্যংছড়ি :

নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শবর্তী রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার নিম্ন এলাকা তলি গেছে। ডুবে আছে উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের গ্রামীণ যাতায়াতের পথ। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এখানকার হাজারো জনসাধারণ। বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে গর্জনিয়া বাজার, কচ্ছপিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সর্বসাধারণ। বিশেষ করে বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ওই এলাকার নিন্মাঞ্চল কচ্ছপিয়া ইউনিয়ানের তিতার পাড়া, ডিককুল, দৌছড়ি, জামছড়ি, মৌলভির কাটা, শুকমুনিয়াসহ গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড় বিল, পূর্ব জুমছড়ি, টাইম বাজার, পশ্চিম জুমছড়ি, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশের গ্রামের বসত বাড়িতে পানি উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২ মঙ্গলবার দিবাগত রাত হতে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার তিতার পাড়া, গর্জনিয়া বাজার, শুকমুনিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম, পুর্ব বুমাংখিল, গর্জনিয়া বাজার হতে চাকমার কাটা গুরুর বাজার পর্যন্ত সড়কসহ কযেকটি গ্রামে পানি উঠে যাতাযত করতে পারছেনা জনসাধারণ। গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল জানান, হঠাৎ করে প্রবল বর্ষনে বন্যার ফলে বাকঁখালী ব্রীজের ভাংঙ্গ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সহ সংশ্রিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। নুরুল আলম মেম্বার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত হতে গর্জনিয়ার ইউনিয়নের টাইম বাজার হতে সিকদার পাড়া, পূর্ব জুমছড়ি, বড় বিল এবং শাহ সুজাঁ সড়কে পানি বিপদ সীমার উপরে বেড়ে যাওয়ায় সকাল হতে কোন জনসাধারণের চলাচল করে পারছেনা । এছাড়া ও গর্জনিয়া বাজারে সোমবার সন্ধ্যা হতে বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় দিন যাপন করছে মানুষ। এদিকে এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশংকা করছেন বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির ফলে রামুতে থমকে পড়েছে ঈদের বাজার। বৃষ্টির ফলে বসত বাড়িতে পানি উঠায় ঈদ আনন্দ নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন অনেকেই।

পাঠকের মতামত: