ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ফাঁসিয়াখালীতে মাদ্রাসায় চলছে দুপক্ষের উত্তেজনা, সংঘর্ষের আশংকা!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:

চকরিয়ার নিকটবর্তী লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে আশরাফিয়া মাদ্রসা ও এতিমখানায় চলছে দুপক্ষের উত্তেজনা। যেকোন সময় স্থানীয়দের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। ইউনিয়নের গুলিস্তান বাজার এলাকায় ১৯৮৫ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিা লাভ করে শুরুতে ভালভাবে চললেও পরে দুটি পক্ষের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে এখনো পর্যন্ত পক্ষে বিপক্ষে ঘায়েল করতে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকালীন মুহতামীম মির আহাম্মদ আল আনোয়ারী এবং তার জামাতা মানব পাচার মামলার জেল ফেরত আসামী ফোরকান আহমদ বিরোধের মধ্য দিয়ে এ পক্ষপাতিত্বের সুত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

গত রোববার দিবাগত রাতে মুহতামিম আনোয়ারীর বিরুদ্ধে দুই শিশুকে বলদকার চেষ্টার অভিযোগ উঠে। ঘটনার আগের দিন মাদ্রাসা বন্ধের সময় পেকুয়া উপজেলার টইটং থেকে দুই মহিলা আবু শামা ও রিয়াদ নামক দুই শিশু সন্তানকে ফাঁসিয়াখালীর আশরাফিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে। শিশু রিয়াদের মা’র সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ‘চুনতির একটি মাদ্রাসায় তার বোনের পুত্র আবু শামা ও রিয়াদ অধ্যয়নরত ছিল। খরচের সাশ্রয়ী করতে দুই শিশুকে চুনতির মাদ্রাসা থেকে নিয়ে একইদিন ফাঁসিয়াখালীর আশরাফিয়া মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি করাই। মাদ্রাসায় শিশুদের রেখে গেলে পরদিন রাতে মুহতামিম তাদের বলৎকার চেষ্টা করেছে বলে শিশুর কাছ থেকে জানতে পারি।’ এদিকে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার পরও শিশু দুটিকে রেখে যাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক মনে করেন স্থানীয় অনেকে।

 নিকটস্থ ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন ওদিন রাত ১১টার দিকে মাদ্রাসা থেকে এসে দুই শিশু ছাত্র আমাদের কাছে মুহতামিম তাদের বলৎকারের চেষ্টা করেছে বলে জানান। সত্য কি মিথ্যা জানি না তবে বিগত ৮-১০ বছর পূর্বে এরূপ অভিযোগ আরো উঠেছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শফি বলেন, আশরাফিয়া মাদ্রাসায় বলৎকারের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষের কথা শুনে ঘটনা কতটুকু সত্য নিশ্চিত করা যায়নি। গুলিস্তান বাজার সমিতির সভাপতি আলী আজম বলেন, বলৎকার ঘটনা সত্য স্বীকার করে সাক্ষী দিতে মাদ্রাসার মুহতামিম বিপক্ষের এক ব্যক্তি বাজারে চকিদারের মাধ্যমে বিশ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি রাজি হননি। এ অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো বলে জানায় আশরাফিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মির আহাম্মদ আল আনোয়ারী। তিনি বলেন এই বনাঞ্চলে মাদ্রাসা শিক্ষার আলো ছড়াতে বিগত ৩৪ বছর আগে এ দীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। পরে মাদ্রাসাটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পর আমাকে বিতাড়িত করতে শুরু করে ষড়যন্ত্র। এতে নেতৃত্ব দেন মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত মুহতামিম ফারুক, স্থানীয় ওহিদ ও জামাতা ফোরকান। গত তিন বছর পূর্বে আমি নিজেই চলে গেছিলাম কিন্তু স্থানীয় লোকজন আমাকে খুঁজে নিয়ে আসছে। এবারের ঘটনাও আমার উপর এমন একটি ষড়যন্ত্র। আমি এমন কিছু করিনি বলে সে কেঁদে ফেলায় আর কথা বলার সম্ভব হয়নি।

পাঠকের মতামত: