ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় ঘরে বসে প্রশিক্ষণার্থী ৬০জন কৃষক-কৃষাণী পেলেন থাইল্যান্ডের উন্নত জাতের ঘাস

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় বসে বাংলাদেশের ৬০ কৃষক পেলো থাইল্যান্ডের উন্নত জাতের ঘাস। বুধবার ২৭ জুন উপজেলার মোহনা মিলনায়তনে “গো-খাদ্য প্রস্তুতকরণ এবং দুর্যোগকালীণ সময়ে গো-খাদ্য সংরক্ষণ” শীর্ষক তিনদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশনেয়া কৃষক-কৃষানী ৬০প্রশিক্ষণার্থীর হাতে থাইল্যান্ডের ঘাসসহ নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম অনুষ্ঠানে ৬০জন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে থাইল্যান্ডের ঘাসসহ নগদ টাকা তুলে দেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ ফেরদৌসি আক্তার দীপ্তির সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে কাগজ-কলমে প্রশিক্ষণ শেষে অতিথিবৃন্দ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৬০ প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে উদ্বুদ্ধকরণ হিসেবে নগদ টাকা ও গো-খাদ্য চাষাবাদের জন্য থাইল্যান্ডের উন্নত জাতের ঘাস বিতরণ করেন। এসময় জাইকার কর্মকর্তা পাপিয়া চাকমাসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত: চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় সোমবার ২৫জুন ৩দিনব্যাপি “গো-খাদ্য প্রস্তুতকরণ ও দুর্যোগকালীণ সময়ে গো-খাদ্য সংরক্ষণ” শীর্ষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম।

অনুষ্ঠিত কর্মশালার সহায়তায় ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এজেন্সি (জাইকা)।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম প্রশিক্ষন নেয়া কৃষক-কৃষাণীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমাদেরকে গো-খাদ্য প্রস্তুতকরণ এবং দুর্যোগকালীণ সময়ে গো-খাদ্য সংরক্ষণ” বিষয়ে আগে থেকে অবগত থাকতে হবে। সেইজন্য সরকার আপনাদের জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামীতে আপনাদেরকে ঘরে বসেই পতিত জায়গায় থাইল্যান্ডের উন্নত জাতের ঘাস চাষ করতে হবে। এটি আপনারা যতœ সহকারে করতে পারলে ভবিষ্যতে গো-খাদ্য প্রস্তুতকরণ এবং দুর্যোগকালীণ সময়ে গো-খাদ্য সংরক্ষনে কোন ধরণের সমস্যা হবেনা।

পাঠকের মতামত: