ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

অদিতি মুন্সীর কীর্তনে মুগ্ধ শ্রোতা

5e7d0237ca6d7a202979872fd7a2ce5aনিজস্ব প্রতিবেদক ::

ছি ছি আমরা লাজে মরে যাই’ বলে যিনি লাজে রাঙা বধূর মতো মুখ লুকাতেন টেলিভিশনের পর্দায়, তিনি অদিতি মুন্সী, ওপার বাংলার জনপ্রিয় কীর্তনীয়া। কীর্তনকে তিনি জনপ্রিয়তার চূড়ায় নিয়েছেন। ওপার বাংলার হয়েও এ বাংলার কীর্তনপ্রিয় মানুষের মুখে মুখে ফেরে তার গাওয়া কীর্তনগুলো। সেই অদিতি চট্টগ্রাম আসবেন আর মানুষের ভিড় হবে না, তা কী হয়? কিন্তু তাই বলে এত! এ যে জনস্রোত! ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রতীক্ষায় ক্লান্তি নেই কারো। যেন অদিতি তাদের নিজের মেয়ে। প্রত্যাশার পারদ যখন সুউচ্চে, তখন অদিতি এলেন, তার স্নিগ্ধ হাসিতে ভুলিয়ে দিলেন অপেক্ষার যন্ত্রণা।

বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির (বাগীশিক) জাতীয় গীতা সম্মেলনে ‘ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর’ হিসেবে এসেছেন জি বাংলার সারেগামাপা’র জনপ্রিয় তারকা অদিতি। প্রিয় শিল্পীকে এক নজর দেখতে গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকেই যেন সব শ্রোতা এসে মিশেছিল রহমতগঞ্জের জে এম সেন হলে।

রাত পৌনে আটটায় মঞ্চে আসেন অদিতি। হাসিমুখে বিলিয়ে দিলেন কণ্ঠসুধা। আশীর্বাদ নিলেন অঞ্জলি ভরে। তারপর জি বাংলায় গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় সব কীর্তনেসংকীর্তনে বুঁদ করে রাখেন ভক্তদের। দ্রুত, মধ্য ও বিলম্বিত লয়ে তার পরিবেশনা ছিল এক কথায় অসাধারণ। রাস্তায়, মোড়ে যারা বড় পর্দায় চোখ রেখেছিলেন, তারা অদিতির ছবির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন।

বাগীশিকের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিনব্যাপী উৎসব উদ্বোধন করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন বাগীশিকের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তপন সরকার। ছিল আলো ঝলমলে নৃত্য। তার আগে ছিল রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিতের সংবর্ধনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি গীতা ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দাবিগুলো আমি শুনেছি। এর মধ্যে আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে যেগুলো আমার পক্ষে পূরণ করা সম্ভব করব। নগরবাসীকে আমি সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। এক্ষেত্রে আমি আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। তিনি দেবাশীষ পালিতের হাতে সংবর্ধনা স্মারক তুলে দেন এবং গীতা শিক্ষা কমিটির ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন।

গতকাল দিনব্যাপী এ উৎসবে ৩০ জেলার ২০ হাজারের বেশি ভক্ত সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। উৎসব শুরু হয় সকাল ১০টায়। চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। উৎসবে ছিল সাংগীতিক গীতাপাঠ, গুণীজন ও গীতা প্রশিক্ষক সংবর্ধনা, শীতবস্ত্র বিতরণ, জীবন ও দাতা সদস্য সম্মাননা, বৈদিক ধূম্রজাল প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, শিক্ষাসামগ্রী ও শিক্ষাবৃত্তি দান, চারা বিতরণ, নৃত্যনাট্য, সঙ্গীতানুষ্ঠান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, লোকজ মেলা ও ধর্ম সম্মেলন।

 

পাঠকের মতামত: