ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চট্রগ্রাম-কক্সবাজার সহাসড়কে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় কমছে সড়কে দুর্ঘটনা

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও ::

কক্সবাজার প্রতিনিধি, কক্সবজার-চট্রগ্রাম মহাড়কে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী কমছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করা গাড়ির পাশাপাশি থ্রি-হুইলার, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত এবং শ্যালো মেশিন চালিত নছিমন, করিমন, ভটভটির বিরদ্ধেও অভিযান অব্যহত রয়েছে। ফলে গত ১ মাসে মহাসড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। অফিসার্স ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে মহাসড়কে নিরাপদে যান চলাচলে তাদের কর্ম এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে মহাসড়কে বিশেষ করে ফাসিয়াখালী, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা, মেদাকচ্ছপিয়া ঢালা, খুটাখালী, নতুন অফিস, নাপিতখালী, ফকিরা বাজার, ঢালারদোয়ার, ঈদগাঁওয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো। বর্তমান অফিসার্স ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তা কিছুটা কমছে।

ইসলাবাদ মমতাজুল উলুম ফরিদিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আমান উদ্দীন জানান, ছোটখাটো যানবাহনের কারণে আগে মহাসড়কে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটতো। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভিযানের কারণে ওইসব যানবাহন লাপাত্তা হয়েছে মহাসড়ক থেকে। ফলে গত কয়েক মাসে মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য কোনো দুর্ঘটনা তথা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

মালুমঘাট পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩১ কিলোমিটার মহাসড়ক কর্মএলাকায় মাত্র ১৮ জন জনবল নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। অফিসার্স ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেন দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে গত কয়েক মাসে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে সাড়ে ৪শটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মাদক মামলা হয়েছে ৪৫টি।

খুটাখালী এলাকার বাসিন্দা শাহাব উদ্দীন কোম্পানি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতার কারনে এবারে ঈদে নির্বিঘেন্ন যানবাহন চলাচল করেছে। ফলে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আওতায় ৩১ কিলোমিটার সড়ক পথে নেই কোন দূর্ঘটনা। এছাড়া দিনের বেলা হাইওয়েতে আর আগের মতো সিএনজি, নসিমন, করিমন, ভটভটিও চোখে পড়ে না।

মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ীর অফিসার্স ইনচার্জ মো: আলমগীর হোসেন বলেন, কক্সবজার-চট্রগ্রাম মহাসড়কে নিরাপদ গতিসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু সড়কটি খুবই ভালো, তাই গতি বাড়িয়ে দেয় চালকরা। এছাড়া অভারটেকিং মানসিকতা, থ্রি-হুইলার, অসতর্কতার সঙ্গে পথচারী পারাপারের ফলেও দুর্ঘটনা ঘটে। গতিসীমা ৮০ কিলোমিটার অতিক্রম করলে সেই গাড়ি বা চালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আর এর চেয়ে নিচে ৭০ কিলোমিটার গতি থাকলে তাদের থামিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়। এ ছাড়া থ্রি-হুইলার, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত এবং শ্যালো মেশিন চালিত নছিমন, করিমন, ভটভটি জব্দ করাসহ তাদের বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: