ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

লামায় ডেসটিনির আকাশমনি ও বেলজিয়াম বাগান উজাড়, থানায় মামলা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::

বান্দরবানের লামায় অবাধে উজাড় হচ্ছে ডেসটিনির বাগান। ডেসটিনি গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান “ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিঃ” ২০০৬ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই বনায়ন করেছিল। ২০১২ সালে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ আইনী জটিলতায় পড়ার পর থেকে লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সৃজিত বাগান গুলো স্থানীয় কিছু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাগান রক্ষায় ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিঃ এর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কেয়ারটেকাররা লামা থানায় ৩ ডজনের অধিক মামলা করেও বাগান রক্ষা করতে পারছেনা বলে জানান।

সম্প্রতি উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মাঙ্গুঝিরি এলাকায় ডেসটিনি গ্রুপের আকাশমনি ও বেলজিয়াম বাগান থেকে জনৈক আব্দুস সালাম (৫৫) ও বজল মিয়া (৩০) সঙ্গীয় ৬/৭ জন নিয়ে শতাধিক একাশি গাছ কেটে নিয়ে যায়। সরজমিনে গিয়ে গাছ কাটতে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে লামা থানায় মামলা করেন বাগানের কেয়ারটেকার মো. ইউনুছ মিয়া। বিবাদী আব্দুস সালাম ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মাঙ্গুঝিরি এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী আব্দুস সালাম ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিঃ এর লামার ইয়াংছা বাগানের গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিল। কাজের থাকাকালীন সময়ে সে অসংখ্যবার চুরি করে গাছ কাটা সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। তারপরেও সে গাছ কাটা বন্ধ না করায় গত ১ ডিসেম্বর ২০১৭ইং তাকে চাকুরী হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড হিমছড়ি এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে বজল মিয়া সহ আরো ৬/৭ জনকে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে গাছ কাটা শুরু করে।

সর্বশেষ গত ১২ জুন ২০১৮ইং আমরা জানতে পারি বিবাদী দুইজন সঙ্গীয় ৬/৭ জনকে সাথে নিয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দূর্গম মাঙ্গু ঝিরি এলাকার ডেসটিনির আকাশমনি ও বেলজিয়াম বাগান থেকে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। খবরপেয়ে আমরা বাগানে কর্মরত আরো লোকজন নিয়ে সেখানে গেলে তারা আমাদের মারধর করতে তেড়ে আসে। তারা বলে আমাদের কাজে বাধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করবে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ১শত একাশি গাছ কাটা দেখতে পায় এবং বিবাদীরা ৭০টি গাছ চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্যে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ও ঘটনাস্থলে আরো ৩০টি গাছ কাটা পড়ে থাকতে দেখি। যাতে করে কোম্পানীর আরো ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এই বিষয়ে লামা থানায় অভিযোগ করলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ২১ জুন ২০১৮ইং অভিযোগটি গ্রহণ করে।

লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কুমার দাস বলেন, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটার আলামত দেখতে পাই এবং কিছু গাছ জব্দ করি। ইতিমধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: