ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানেও আসছে ইয়াবা

গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ :
সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলা থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ করতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এতে অত্র এলাকার অনেক মাদক কারবারী ঘর ছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অনেক মাদক কারবারী এই জগন্য অপরাধ থেকে সরে এসে ভাল ব্যবসা করে পরিবার নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। কারন তারা বুঝতে পেরেছে এই অপকর্মে লিপ্ত থাকলে সারা জীবন আইনের চোঁখে অপরাধী হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হবে।
এদিকে অত্র এলাকার মাদক কারবারীরা তাদের ব্যবসা বন্ধ রাখলেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সু-কৌশলে মাদক পাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সেই সুত্র ধরে ১০ জুন বিজিবি সদস্যরা ফের উদ্ধার করল ১ লক্ষ ইয়াবা তবে এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত কোন কারবারীকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। এদিকে আইন-শৃংখলা বাহীনির সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান চলমান রাখলে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ইয়াবা পাচারের মুলহোতারা।
অপরদিকে মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার নিয়ে সচেতন মানুষের মুখে মুখে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। টেকনাফের সুশীল সমাজের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অভিমত প্রকাশ করে বলেন, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা লক্ষ লক্ষ ইয়াবা বিজিবি সদস্যদের হাতে আটক হলেও এই ইয়াবা গুলোর সাথে জড়িত মুলহোতারা কেন ধরা পড়ছেনা।
কেন বার বার থেকে যায় তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে?তারা দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন তাহলে আমাদের বুঝতে হবে আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রশাসনের সদস্যদের চেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী।
তাই তারা সহজে পার পেয়ে যায় এবং মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের মধ্যেও ইয়াবা কারবার অব্যাহত রাখতে সক্ষম হচ্ছে।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়,গত ১০ জুন গভীর রাতে হোয়াইক্যং লম্বাবিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১ লক্ষ মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিজিবি প্রেস রিলেজে জানা যায়, ২ বিজিবি অধিনায়ক গোপন সংবাদে জানতে পারে মিয়ানমার থেকে নৌকা দিয়ে কয়েকজন চোরাকারবারী নাফনদীর জলসীমা ব্যবহার করে বাংলাদেশ সীমানায় নিয়ে আসছে বিপুল পরিমান ইয়াবার বড় চালান।
সেই সুত্র ধরে টেকনাফ হোয়াইক্যং নাফনদীর লম্বাবিল সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিজিবি সৈনিকেরা। উক্ত অভিযানে বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে সু-কৌশলে পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। চোরাকারবারীদের আটক করতে না পারলেও তাদের পেলে যাওয়া ১ লক্ষ ইয়াবাসহ বিপুল পরিমান বার্মিজ কাপড় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক আছাদুদ জামান মালিক বিহীন ১ লক্ষ ইয়াবা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীরা পালিয়ে গেলেও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারীরা সু-কৌশলে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু মাদক কারবারীরা যতই কৌশল পরিবর্তন করুক না কেন আমাদের বিজিবি সদস্যরা সেই মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ১০ জুন গভীর রাতে হোয়াইক্যং নাফনদী সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচারের খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যায়। কারবারীরা আমাদের সৈনিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেলেও ১ লক্ষ ইয়াবা ও বিপুল পরিমান বার্মিজ কাপড় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন চলমান মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলে আমরা টেকনাফ সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ করতে আরো সফলতা অর্জন করতে পারবো। বর্তমানে আগের তুলনায় ইয়াবা পাচার অনেকটা কমে এসেছে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: